আজ বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে তারা কর্মসূচিতে এসব দাবি জানান। এসময় তারা আগামী ১৪ জানুয়ারির মধ্যে সম্মান শেষ বর্ষের স্থগিত লিখিত পরীক্ষাসমূহ নেয়া না হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অন্য দুই দাবি হলো- স্নাতক শেষ বর্ষের বাকি থাকা ক্লাস সম্পন্ন করে দ্রুত পরীক্ষা নেওয়া এবং তা আগামী ১৪ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করা। আগে একই দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয় এবং এর অনুলিপি প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর দেয়া হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনার অজুহাত দিয়ে বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া কোনো কিছুই বন্ধ নেই। দু-একটি কোর্সের পরীক্ষা বাকি থাকায় আমাদের সবকিছু আটকে আছে। চাকুরির জন্য আবেদন করতে পারছি না। চাকরির বাজারে পিছিয়ে পড়ছি আমরা। এক অনিশ্চিত জীবন অতিবাহিত করছি। অবিলম্বে স্থগিত পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
তারা জানান, ‘ইতোমধ্যে ৪২তম ও ৪৩তম বিসিএসসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সার্কুলার প্রকাশিত হয়েছে। এ অবস্থায় ডিসেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন বিভাগের সম্মান শেষ বর্ষের পরীক্ষাসমূহ নেয়া না হলে, বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ হারাবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই পরীক্ষাগুলো হোক। কিন্তু ইউজিসি বা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা না পেলে পরীক্ষার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।’
এদিকে স্মারকলিপি প্রদানকালে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বলেন, পরীক্ষার বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।