যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ডেনভারের বাসিন্দা গীতাঞ্জলি রাও বিভিন্ন ক্ষেত্রজুড়ে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। সে এমন একটি ডিভাইস উদ্ভাবন করেছে যা পানীয় জলের সীসা শনাক্ত করতে পারে এবং সাইবার বুলিং শনাক্ত করতে পারে এমন একটি অ্যাপ এবং গুগলের ক্রোম ব্রাইজার এক্সটেনশন তৈরি করেছে। এই সফটওয়্যারটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (এআই) ব্যবহার করে সাইবার বুলিং বা ভার্চুয়াল নিপীড়ন ও হয়রানিমূলক কনটেন্ট শনাক্ত করতে সক্ষম।
গীতাঞ্জলি আশা করছে, দুনিয়ার বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগী হওয়ার ক্ষেত্রে তার এই স্বীকৃতি অর্জন অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে।
যুক্তরাষ্ট্রে মনোনীত পাঁচ হাজার উদ্ভাবক ও উদ্যোমী শিশু-কিশোরের মধ্য থেকে গীতাঞ্জলিকে বেছে নিয়েছে টাইম ম্যাগাজিন। কৌতুক অভিনেতা ও টিভি উপস্থাপক ট্র্যাভর নোয়াহসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী তরুণদের নিয়ে গঠিত কমিটি সেরা পাঁচজনের মধ্য থেকে চূড়ান্তভাবে গীতাঞ্জলিকেই টাইমের প্রথম ‘কিড অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত করেছে।
গীতাঞ্জলি এবং অন্য চারজন ফাইনালিস্ট আগামী শুক্রবার একটি বিশেষ টিভি অনুষ্ঠানে হাজির হবে। সেখানেই তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা দেয়া হবে।
অস্কারজয়ী হলিউড অভিনেত্রী এবং মানবতাবাদী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে গীতাঞ্জলি বলে, আমি আপনাদের চোখের দেখা টিপিক্যাল বিজ্ঞানী নই। আমি টিভিতে যা দেখি তা হলো বিজ্ঞানী হোন বয়স্ক, সাধারণত শ্বেতাঙ্গ এবং পুরুষ। বলতে গেলে এরপরই আমার লক্ষ্য পরিবর্তন করি। কেবলমাত্র বিশ্বের সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য আমার নিজের ডিভাইস তৈরি করা নয়, অন্যকেও একই কাজ করতে অনুপ্রাণিত করাই আমার উদ্দেশ্যে পরিণত হয়। কারণ, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, কোনো ক্ষেত্রে যখন আপনি আপনার মতো কাউকে আর দেখতে না পান, সেটা করা তখন আর সহজ থাকে না। সুতরাং আমি সত্যিই সেই বার্তাটি দিতে চাই, আমি যদি এটি করতে পারি তবে আপনিও পারবেন এবং যে কেউ চাইলেই করতে পারেন। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।