ভারতের সংবাদমাধ্যম দি হিন্দু জানায়, এর আগে রোববার (৬ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার ভারতে তাদের টিকার জরুরি অনুমোন চেয়েছে। তার একদিন পরই টিকার অনুমোদন চাইল সিরাম।
সম্প্রতি বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ফাইজারের টিকা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে বাহরাইন। এর আগে প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজারের করোনা টিকা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে অনুমোদন চেয়ে ফাইজারই প্রথম এ ধরনের আবেদন করে।
ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অক্সফোর্ডের করোনা টিকা 'কোভিশল্ডি' এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। পুনেভিত্তিক সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এই ট্রায়াল পরিচালনা করছে। এতে সহায়তা করছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্স (আইসিএমআর)।
এর আগে বুধবার মার্কিন সংস্থার তৈরি এই টিকার জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র দিয়েছিল যুক্তরাজ্য সরকার। একদিন পর বৃহস্পতিবার দেশে এসে পৌঁছায় ফাইজারের টিকা। এ বিষয়ে ফাইজার কিংবা যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, আগামী সপ্তাহের মধ্যে করোনাভাইরাসের আট লাখ ডোজ টিকা হাতে এসে পৌঁছাবে এবং হাতে আসা মাত্রই এর প্রয়োগ শুরু হবে।