সোমবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়ালি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সহযোগিতা চান তিনি।
এসময় দেশের তৈরি পোশাক খাতের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রথম ধাক্কা মোটামুটি সামাল দেওয়া গেলেও দ্বিতীয় ধাক্কা লেগেছে দেশের প্রধান এই রপ্তানি খাতে। প্রথম ধাপের সেই ধাক্কা কাটিয়ে গেল আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি নিয়ে বেশ শক্ত অবস্থানের জানান দিচ্ছিল দেশের প্রধান এই রপ্তানিখাত।
তবে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুতেই আবারও ভেসে উঠেছে এ খাতের দৈন্যদশার। নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে আটকে পড়ে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমেছে ৭ দশমিক সাত আট ও ২ দশমিক ছয় ছয় শতাংশ। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ক্রয়াদেশও আসছে ৩০ ভাগ কম।
এ অবস্থায় শর্তসাপেক্ষে প্রথম দফায় সরকারের দেওয়া প্রণোদনা প্যাকেজের (ঋণ) অর্থ পরিশোধে সময়সীমা দুই বছর থেকে বাড়িয়ে ৫ বছর করার দাবি জানান তিনি। সেই সঙ্গে শ্রমিকদের পাশে থাকতে আবারও কয়েক মাসের জন্য আগেরবারের মতোই একটা প্রণোদনা প্যাকেজ চান তিনি।
এদিকে, কয়েক মাস আগেই রপ্তানির আয়ের হিসাবে বাংলাদেশের পোশাকখাত টপকে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশের তকমা পাওয়া ভিয়েতনামও বাংলাদেশের তুলনায় পিছিয়ে পড়বে। কারণ, তৈরি পোশাক দেশটির প্রধান রপ্তানি পণ্য নয়।