সোমবার (৭ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছি। বৈঠকে আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) বিভাগ থেকে এ বিষয়ে অনেক বড় উপস্থাপনা দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে কীভাবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে হ্যান্ডেল করব। যদি এটাকে ঠিকভাবে হ্যান্ডেল করতে না পারি তাহলে আমাদের জন্য একটু অসুবিধা হবে। কারণ, সব টেকনোলজি ও উৎপাদন পদ্ধতি পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে কোথাও কোথাও ম্যানপাওয়ার কমে যাবে আবার অন্য জায়গায় লাগবে। এ শিফটিংগুলোও করতে হবে। আমাদের ওয়ার্ক ফোর্সকে সেভাবে ডেভেলপ করে নিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ১০টি প্রযুক্তি নির্ভর। অ্যাডভান্সড ম্যাটেরিয়ালস, ক্লাউড টেকনোলজি, অটোনোমাস ভেহিক্যাল, সিনথেটিক বায়োলজি, ভার্চুয়াল অগমেন্টেড রিয়েলিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবট, ব্ল্যাক চেইন, থ্রিডি প্রিন্টিং এবং ইন্টারনেট অব থিংকস বা আইওটি- এই দশটি টেকনোলজি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে লিড করবে। এ ১০টি টেকনোলজিকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের বেশ কয়েকটা গার্মেন্টস এবং ফার্নিচার ইন্ডাস্ট্রিতে রোবট ব্যবহার শুরু করে দিয়েছে। অনেক গার্মেন্টস একটা খাত মেকানাইজ করে দিচ্ছে।সেক্ষেত্রে ম্যান পাওয়ারকে শিফট করে দিতে হবে।বায়োলজিক্যাল, ডিজিটাল এবং ফিজিক্যাল। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে এই তিন সেক্টরেই সরকারকে কাজ করতে হবে- বলেও জানান তিনি।
সচিব বলেন, শিল্প বিপ্লবের ক্ষেত্রে তিনটি সমস্যা দেখা দেবে। প্রথমত মেশিন বা রোবট অনেক মানুষকে রিপ্লেস করে ফেলবে। এজন্য যারা চাকরি হারাবে তাদেরকে পরিকল্পনা করে অন্য জায়গায় চাকরি দিতে হবে। এটা নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই। কারণ, জার্মানি হলো চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে সব থেকে অ্যাডভান্স। কিন্তু সেখানে বেকারের সংখ্যা পৃথিবীর সব থেকে কম। দ্বিতীয় সমস্যা হবে আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় যে জ্ঞান আছে তা পরিপূর্ণভাবে ইক্যুপ্ট করতে পারবে না। সেজন্য আমাদের আরেকটু অ্যাডভান্স এডুকেশনে যেতে হবে। তৃতীয় বিষয় হলো- আমাদের ফিন্যান্সিয়াল বা ইকোনমিক পলিসিতে কিছু নতুন জিনিস আনতে হবে। কারণ, প্রাথমিক বিনিয়োগটা বড় হবে। ফলে যারা ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা আছে আছে তাদের জন্য একটু অসুবিধা হতে পারে, নিজের টাকা দিয়ে ইক্যুপ্ট করা। সেজন্য রাষ্ট্র বা সরকার বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নতুন কর্মসূচি নিয়ে আসতে হবে। যাতে এ জাতীয় উদ্যোক্তাদের ব্যাকআপ করা যায়।
‘এজন্য প্রস্তাব এসেছে একটা বড় টাস্কফোর্স গঠন করে এখন থেকেই কীভাবে কো-অপ্ট করব এবং লেবার শিফটিং হলে কীভাবে শিক্ষা দিয়ে দক্ষ করব, তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করতে হবে।