অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশটিতে এই টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম সারিতে আছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। যাদের সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ৮০ বছরের বেশি বয়সী প্রবীণ ও কেয়ার হোমের কর্মীরাও এ টিকা পাবেন। কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা মঙ্গলবার সকাল থেকে টিকাদান শুরু করবেন। বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, প্রথম ধাপে প্রায় চার লাখ মানুষকে এ টিকা দেওয়া হবে। এ জন্য দেশটির সরকার চার কোটি টিকার অর্ডার করেছে।
ইংল্যান্ডে এ টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনার কেন্দ্র হিসেবে প্রাথমিকভাবে ৫০টি হাসপাতাল নির্বাচন করা হয়েছে। স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের কিছু হাসপাতালেও মঙ্গলবার থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের প্রধান নির্বাহী সিমন স্টিভেনস এই কার্যক্রমকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। আর টিকা প্রয়োগের প্রথম দিনটিকে ‘ভি-ডে’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের বরাত দিয়ে বিবিসি বলেছে, করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের অসুস্থতার মাত্রা ও বয়স অনুযায়ী নয়টি দলে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে বাসাবাড়িতে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত কেয়ার হোমের কর্মী, ৮০ বছরের বেশি বয়সী সব প্রবীণ নাগরিক এবং স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ কর্মী। বাকি সাতটি দলে আছেন ষোলো থেকে পঁচাত্তরের বেশি বয়সী নাগরিকেরা।
গত সপ্তাহে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ও জার্মানির বায়োএনটেক এর যৌথভাবে উদ্ভাবিত করোনার টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য। যা আজ থেকে প্রয়োগ হতে যাচ্ছে। ফাইজার ও বায়োএনটেকের দাবি, তাদের উদ্ভাবিত করোনার টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর।
যুক্তরাজ্য অনুমোদন দেওয়ার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আগামী ১১ ডিসেম্বর এ টিকা প্রয়োগের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয়। জার্মানিতেও এ মাসে প্রয়োগের কথা। এ ছাড়া আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে ফা্কইজারের এ টিকা প্রয়োগের ঘোষণা দিয়েছে স্পেন। এ কারণে প্রথম দেশ হিসেবে টিকাটির প্রয়োগ করতে যাওয়ায় আজ যুক্তরাজ্যের ওপর সারাবিশ্বের চোখ রাখার কথা বলেছে নিউইয়র্ক টাইমস।