১০ ফেব্রুয়ারি, সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ তহবিল গঠন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে বিনিয়োগের নীতিমালা এবং কিছু ক্ষেত্রে সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তহবিলের অর্থ যে কোনো খাতে ওই অর্থের পুরোটা বিনিয়োগ করা যাবে না। আবার ব্যাংকের নিজস্ব বিনিয়োগেও লাগানো যাবে না পুরো অর্থ। তহবিলের একটি অংশ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে ঋণ হিসেবে দিতে হবে বিনিয়োগের জন্য। আরও একটি অংশ দিতে হবে অন্য ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে, যাতে তারাও বাজারে বিনিয়োগ করতে পারে।
তহবিলের অর্থ বিনিয়োগ করার জন্য নতুন বিও হিসাব খুলে আলাদা পোর্টফোলিও চালু করতে হবে। ব্যাংকের নিজস্ব পোর্টফোলিওতে বিশেষ তহবিলের সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যাবে। কোনো ব্যাংক যদি ২০০ কোটি টাকার তহবিল সুবিধা নেয় তাহলে এই ব্যাংকটি তার নতুন নিজস্ব পোর্টফোলিওতে ৮০ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবে।
বিশেষ তহবিলের ২০ শতাংশ অর্থ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানের নতুন পোর্টফোলিও গঠনের জন্য ঋণ হিসেবে দিতে হবে। আর সাবসিডিয়ারি কোম্পানি ওই অর্থ শেয়ার, ডিবেঞ্চার, বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড ইত্যাদিতে বিনিয়োগ করবে।
উল্লেখ, তফসিলি ব্যাংকগুলোর বেশ কয়েকটির এমন সহযোগী প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো মধ্যবর্তী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুঁজিবাজারে দায়িত্ব পালন করছে। এসব সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ব্রোকারহাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি।
প্রতিটি ব্যাংককে আলোচিত তহবিলের ৩০ শতাংশ অন্য ব্যাংকের এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাবসিডিয়ারি কোম্পানিকে (ব্রোকারহাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি) নতুন পোর্টফোলিও গঠনের মাধ্যমে শেয়ার, ডিবেঞ্চার, বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড ইত্যাদিতে বিনিয়োগের জন্য ঋণ হিসেবে দিতে হবে।
বিশেষ তহবিলের ১০ শতাংশ অর্থ ঋণ দিতে হবে অন্যান্য ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক। অর্থাৎ কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান নয়, এমন ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংককে তহবিলের ১০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ ঋণ হিসেবে দিতে হবে।
তহবিলের অর্থ বিনিয়োগ করার জন্য নতুন বিও হিসাব খুলে আলাদা পোর্টফোলিও চালু করতে হবে। ওই পোর্টফো্লিও’র বাজারভিত্তিক মুল্যায়ন (শেয়ার, ডিবেঞ্চার, বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড) ২০২৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। তবে ক্রয় মূল্যের ভিত্তিতে বিনিয়োগ সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে।
এদিকে টানা দরপতনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই সিদ্ধান্তকে ইতোবাচক মনে করছে বিনিয়োগকারীরা। পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট কাটাতে এবং গতি ফেরাতে এই বিশেষ তহবিল অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলেও মনে করছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।