উল্লেখ, আলোচিত তহবিলের আওতায় প্রতিটি ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার সুবিধা নিতে পারবে। সংশ্লিষ্ট চাইলে নিজস্ব উৎস থেকে এ তহবিল গঠন করতে পারবে। আবার ব্যাংকের ধারণকৃত ট্রেজারি বিল/ট্রেজারি বন্ড রেপোর মাধ্যমেও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তহবিল সংগ্রহ করা যাবে। অবার প্রথমে নিজস্ব উৎস থেকে তহবিল গঠন করে পরবর্তীতে ট্রেজারি বিল/ট্রেজারি বন্ডের রেপোর মাধ্যমেও তা সমন্বয় করে নেওয়া যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে, বিশেষ তহবিলের ২০ শতাংশ অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নিজস্ব সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে (Subsidiary Company) বিনিয়োগের জন্য নতুন পোর্টফোলিও গঠনে ঋণ দিতে হবে। আর ৩০ শতাংশ অর্থে ঋণ দিতে হবে অন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে। অন্যদিকে ১০ শতাংশ অর্থ সংরক্ষিত রাখতে হবে অন্য ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংককে ঋণ দেওয়ার জন্য।
ব্যাংকের নিজস্ব সাবসিডিয়ারি
বিশেষ তহবিল সুবিধা গ্রহণকারী প্রত্যেক ব্যাংককে তার পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে (Subsidiary Company) তথা সাবসিডিয়ারি মার্চেন্ট ব্যাংক ও সাবসিডিয়ারি ব্রোকারহাউজকে তহবিলের ২০ শতাংশ অর্থ ঋণ হিসেবে দিতে হবে। যদি কোনো ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার তহবিল সুবিধা নেয় তাহলে সেটিকে ৪০ কোটি টাকা সাবসিডিয়ারি কোম্পানিকে ঋণ হিসেবে দিতে হবে।
বিশেষ তহবিল থেকে প্রাপ্ত ঋণের অর্থ বিনিয়োগের জন্য আলাদা ব্যাংক হিসা্ব ও বিও হিসাব খুলতে হবে। ঋণ সীমার সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সাল।
ওই পোর্টফো্লিও’র বাজারভিত্তিক পুনঃমূল্যায়ন (শেয়ার, ডিবেঞ্চার, বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড) ২০২৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। তবে ক্রয় মূল্যের ভিত্তিতে বিনিয়োগ সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে।
অন্য ব্যাংক ও এনবিএফআইয়ের সাবসিডিয়ারি, ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক
বিশেষ তহবিলের ৩০ শতাংশ অর্থ অন্য ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) সাবসিডিয়ারি ব্রোকারহাউজ ও সাবসিডিয়ারি মার্চেন্ট ব্যাংককে ঋণ হিসেবে দিতে হবে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য। এদের বাইরে থাকা ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংককে ঋণ দিতে হবে ১০ শতাংশ।
এ ধরনের মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারহাউজকে ঋণ পেতে হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদকে করপোরেট গ্যারান্টি দিতে হবে।
ঋণগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের পৃথক বিও হিসাব থাকতে হবে এবং এই হিসাবটি চলমান ঋণ হিসাবের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে হবে।ওই ঋণহিসাব থেকে কোনো অর্থ শুধু শেয়ার কেনা বাবদ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ/চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ বরাবর পাঠানো যাবে।শেয়ার বিক্রির সব অর্থ ওই ঋণ হিসাবে জমা করতে হবে।
ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রহীতার বিও হিসাবে থাকা সব সিকিউরিটিজ বাজেয়াপ্ত করতে পারবে। আর ঋণ বিতরণের আগেই গ্রহীতার কাছ থেকে এ সংক্রান্ত লিখিত অঙ্গীকারনামা নিতে হবে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানকে।
ব্যাংক ও এনবিএফআইএর সাবসিডিয়ারির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পোর্টফো্লিও’র বাজারভিত্তিক পুনঃমূল্যায়ন (শেয়ার, ডিবেঞ্চার, বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড) ২০২৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। তবে ক্রয় মূল্যের ভিত্তিতে বিনিয়োগ সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। অন্যদিকে বাকী মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারহাউজগুলোকে (ডিলার) পোর্টফো্লিও’র পুনঃমূল্যায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে মূল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।