চীনের প্রেসিডেন্ট শি ওই দিন বেইজিংয়ের দিতান হাসপাতাল পরিদর্শনে রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তাদেরকে একটি করে মাস্ক ও গাউন দেন এবং তার নিজের শরীরের তাপমাত্রাও মেপে দেখেন।
ভয়াবহ এই করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১ হাজার ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশে মঙ্গলবার নতুন করে আরো ১০৩ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিতের পর মৃতের এই সংখ্যা নিরূপিত হয়েছে। ভাইরাসে এ পর্যন্ত মৃতের এ সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভি জানায়, বেইজিংয়ের হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে সোমবার প্রেসিডেন্ট শি বলেন, ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল ‘এখনো ভয়াবহ প্রাণঘাতি’। তিনি এর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা আরো কার্যকরের আহ্বান জানান।
দেশব্যাপী এ ভাইরাস ছড়ানোর পর থেকে শি জনসমক্ষে আসেননি। উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশে এখন ৪২ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত।
তিনি প্রধানমন্ত্রী লী কেকিয়াংকে এই মহামারীর মোকাবিলায় গঠিত দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব দিয়েছেন। লী কেকিয়াং গত মাসে উৎপত্তিস্থল উহানের ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
উহানে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, সোমবার শি বেইজিং দিতান হাসপাতাল পরিদর্শনকালে চিকিৎসকদেরকে নীল মাস্ক এবং সাদা সার্জিকাল গাউন দেন। তিনি রোগীদের চিকিৎসা পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন এবং উহানে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, আধুনিক দ্রুত তাপমাপনযন্ত্র ইনফ্রা-রেড থার্মোমিটারের মাধ্যমে শি তার শরীরের তাপমাত্রা মেপে দেখছেন পরে তিনি স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে ওয়েভে কথা বলছেন এবং এপার্টমেন্টের জানালার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলোর প্রতি হাত নাড়ছেন।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে দেশটির সরকার হুবেই প্রদেশের সমস্ত নগরী বন্ধ ঘোষণা করে। প্রদেশটির সঙ্গে সারাদেশের যাতায়াত বিচ্ছিন্ন, পর্যটক আগমণ বন্ধের পাশাপাশি লাখো লাখো লোককে ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়। সূত্র : বাসস