বিনিয়োগকারীরা ফিরে পেয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা

বিনিয়োগকারীরা ফিরে পেয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা
গত সপ্তাহেও (০৬-১০ ডিসেম্বর) উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। সপ্তাহটিতে শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও। আর সপ্তাহিটিতে বিনিয়োগকারীরা ২১ হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে।

জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে উভয় শেয়ারবাজার মিলে বিনিয়োগকারীরা ২০ হাজার ৯৭৫ কোটি ১৭ লাখ ৭৩ হাজার টাকা মূলধন ফিরেছে। এর মধ্যে ডিএসইতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ১০ হাজার ৬১৭ কোটি ৭৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৯৯ হাজার ২৭৮ কোটি ৬২ লাখ ৬২ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বিনিয়োগকারীরা ১১ হাজার ৩৩৯ কোটি ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা মূলধন ফিরে পেয়েছে বিনিয়োগকারীরা।

আর সিএসইতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৭১৮ কোটি ৪৮ লাখ ১০ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ২৯ হাজার ৮২ কোটি ৪১ লাখ ১০ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইর বিনিয়োগকারীরা ৯ হাজার ৬৩৬ কোটি ৭ লাখ টাকা মূলধন ফিরে পেয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৪ হাজার ১৭৩ কোটি ৪১ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৩ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ২৭৫ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ৯৪০ টাকা বা ৭.০৭ শতাংশ বেশি হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৮৯৭ কোটি ৯৯ লাখ ০১ হাজার ৮৯৩ টাকার।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৮৩৪ কোটি ৬৮ লাখ ২৪ হাজার ৭৬৭ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৭৭৯ কোটি ৫৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৭৯ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৫৫ কোটি ৮ লাখ ৪৪ হাজার ৩৮৮ টাকা বেশি হয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১৯.৮২ পয়েন্ট বা ২.৪১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯৪.৬৬ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩৩.৯৯ পয়েন্ট বা ২.৯৯ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪৮.০৩ পয়েন্ট বা ২.৭৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৬৯.৫৩ পয়েন্টে এবং ১৭৭৫.১৬ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬২টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৫টির বা ৫৩.৮৭ শতাংশের, কমেছে ১০৭টির বা ২৯.৫৬ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬০টির বা ১৫.৫৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১৬৭ কোটি ১৮ লাখ ৮০ হাজার ৬৭০ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১২৫ কোটি ০৯ লাখ ৩৬ হাজার ৮০৪ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৪২ কোটি ০৯ লাখ ৪৩ হাজার ৮৬৬ টাকা বা ৩৩.৬৫ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৪০.২১ পয়েন্ট বা ২.৩৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬০২.৭৭ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ২০২.৫৪ পয়েন্ট বা ২.৩৫ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৩২৩.৬২ পয়েন্ট বা ২.৮৪ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ২৯.৮৪ পয়েন্ট বা ২.৯০ শতাংশ এবং সিএসআই ২৩.৭৫ পয়েন্ট বা ২.৫৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৮ হাজার ৭৮৯.৮৩ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৭০০.০৩ পয়েন্টে, ১ হাজার ৫৮.৭৬ পয়েন্টে এবং ৯৬১.৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৬৪টির বা ৫২.৫৬ শতাংশের দর বেড়েছে, ৮৮টির বা ২৮.২০ শতাংশের কমেছে এবং ৬০টির বা ১৯.২৩ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত