বিশেষ করে সাম্প্রতিক রপ্তানি এবং রেমিট্যান্স প্রবাহের চিত্রে সেটিই উঠে এসেছে। তবে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। বাংলাদেশের পণ্য যে দেশগুলোতে যাচ্ছে সেখানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানায় এ নিয়ে রপ্তানি খাতে ঝুঁকি দেখছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটুক সাপ্লিমেন্ট’ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এতে বাংলাদেশ বিষয়ে এমনটি উল্লেখ করেছে এডিবি। গত সেপ্টেম্বর মাসে মূল প্রতিবেদনের সহায়ক হিসেবে এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশ বিষয়ে আলাদা পূর্বাভাস না দিলেও দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতির বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছর শেষ নাগাদ এই অঞ্চলের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ১ শতাংশ সংকুচিত হবে।
আগের প্রতিবেদনে ধারণা করা হয়েছিল সর্বোচ্চ ৬ দশমিক ৮ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে। মূলত ভারতের অর্থনীতিতে ৮ শতাংশ সংকোচনের প্রভাব পুরো দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধিতে পড়বে বলে ধারনা করা হচ্ছে। অবশ্য এর আগের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হবার পূর্বাভাস দিয়েছিল সংস্থাটি।
এডিবি উল্লেখ করেছে, উন্নয়নশীল এশিয়ায় অর্থনৈতিক গতি বেড়েছে। সেপ্টেম্বরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল উন্নয়নশীল এশিয়ায় সার্বিক ভাবে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ সংকোচন ঘটবে। এবারের প্রতিবেদনে ধারণা করা হয়েছে সংকোচনের হার কমে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে এই সংকট কাটিয়ে উঠে এশিয়ার প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।