আজ (১১ ডিসেম্বর) সকালে সংস্থাটিকে জরিমানা করেন হযরত শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক কর্মকর্তা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (১০ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে ১১ ডিসেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত) শাহজালাল বিমানবন্দরে মোট ৩৭টি ফ্লাইটে পাঁচ হাজার ৭৩৬ জন যাত্রী অবতরণ করেন। এ ৩৭টি ফ্লাইটের মধ্যে মালদ্বীপ এয়ারলাইন্সের কিউ-২ ফ্লাইটে যাত্রী আসেন ২শ জন। তাদের মধ্যে ৮২ জনের করোনা নেগেটিভ সনদ থাকলেও বাকি ১১৮ জনের তা ছিল না। তাদেরকে উত্তরা দিয়াবাড়ির কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয়। এ কারণে এয়ারলাইন্সটিকে যাত্রীপ্রতি ২ হাজার টাকা করে জরিমানা করে বিমানবন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়া এবং দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় প্রায় সব দেশের এয়ারলাইন্স সীমিত পরিসরে যাত্রী পরিবহন করছে। এছাড়া করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া কোনো দেশই যাত্রীদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। সে অনুসারে শাহজালাল বিমানবন্দরসহ আকাশ, নৌ ও স্থল সব বন্দরে স্বাস্থ্য মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।
বিভিন্ন ফ্লাইট নানা অজুহাত দেখিয়ে করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া যাত্রী পরিবহন করে আসছিল। গত ৫ ডিসেম্বর থেকে শুক্রবার ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৯৮০ জন রোগীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সম্প্রতি বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসতে করোনা নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক করে। এ বিষয়ে বেবিচকের সদস্য (ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্স) গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী মো. জিয়াউল কবীর স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আসতে হলে সব যাত্রীকে যাত্রা শুরুর সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টা আগে পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। টেস্টে নেগেটিভ যাত্রীরাই দেশে আসতে পারবেন। বিমানবন্দরে সেই নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। বিমানবন্দরেও যাদের করোনা সংক্রমণের লক্ষণ-উপসর্গ আছে কি-না তা অনুসন্ধান করা হবে। গত ৫ ডিসেম্বর থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করে ওই নির্দেশনা জারি হয়।