তিনটি গ্রুপের মধ্যে বাংলাদেশের দুটি হলো– ডোন’স টিম, যারা ডিফেন্স অব নেশন নামে পরিচিত। আরেকটি ক্রাইম রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ফাউন্ডেশন বা সিআরএএফ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ– ফেসবুকের নেটওয়ার্কের অপব্যবহার, ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক, সেই অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আপত্তিকর, উসকানিমূলক, রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট দেয়া এবং ম্যালওয়্যার ছড়ানো।
ফেসবুক ইন্টেলিজেন্স দল এমন প্রমাণ পাওয়ার পর এ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে। ফেসবুকে কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘনের ভুয়া রিপোর্ট করে কিছু অ্যাকাউন্ট বন্ধ করানোর ক্ষেত্রেও তাদের ভূমিকা ছিল বলে জানা গেছে।
বিবৃতিতে সামাজিকমাধ্যমটি জানিয়েছে, তাদের তদন্তে বাংলাদেশের দুটো অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের নাম এসেছে। যারা ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন সেবার সঙ্গেও জড়িত। এসব প্রতিষ্ঠান ভুয়া অ্যাকাউন্ট, মেধাস্বত্ব চুরি, অশ্লীলতা ও সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়ে ফেসবুককে রিপোর্ট করত।
সেই সঙ্গে তারা ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট ও পেজ হ্যাক করত এবং কিছু ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর সেগুলো নিজেদের কনটেন্ট ছড়ানোর মতো কাজে ব্যবহার করত। ফেসবুক জানায়, অন্তত একটি ঘটনায় একজন পেজ অ্যাডমিনের অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তারা অন্য অ্যাডমিনদের সরিয়ে দেয় এবং পেজটি নিষ্ক্রিয় করে দেয়। ফেসবুক জানিয়েছে, ই-মেইল এবং ডিভাইস হ্যাকিংয়ের পর ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট রিকভারি প্রক্রিয়া ব্যবহার করে তারা ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার কাজটি করত বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।
‘এ ধরনের কাজে যে অ্যাকাউন্ট ও পেজগুলো ব্যবহার করা হচ্ছিল, সেগুলো ফেসবুক সরিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের সতর্ক হতে এবং নিজেদের অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরামর্শ দিচ্ছে।’
এদিকে ভিয়েতনামের যে গ্রুপটির বিরুদ্ধে ফেসবুক ব্যবস্থা নিয়েছে, তাদের নাম এপিটি৩২। তারা মূলত দেশটির মানবাধিকারকর্মী, লাওস, কম্বোডিয়াসহ বিভিন্ন দেশ, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, সংবাদমাধ্যম এবং আইটি, হসপিটালিটি, কৃষি, স্বাস্থ্য, অটোমোবাইল, মোবাইল সার্ভিসসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে নিশানা করে ম্যালওয়্যার ছড়ানোর কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।