গ্লোবাল কার্বন প্রজেক্টের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর প্রায় ২.৪ বিলিয়ন টন কার্বন নিঃসরণ কমেছে। এর আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে কার্বন নিঃসরণ ০.৯ বিলিয়ন টন এবং ২০০৯ সালের অর্থনৈতিক মন্দার সময় ০.৫ বিলিয়ন টন কম হয়েছিল।
গবেষকদের আন্তর্জাতিক একটি দলের তৈরি করা প্রতিবেদনে বলা হয়, জৈবজ্বালানি ও শিল্পকারখানা থেকে চলতি বছর ৩৪ বিলিয়ন টন কার্বন নিঃসরণ হয়েছে। এ বছর কার্বন নিঃসরণ সবচেয়ে বেশি কমেছে যুক্তরাষ্ট্রে, ১২ শতাংশ। এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নে এই কমার হার ১১শতাংশ।
যদিও চীন বলছে, এ বছর তাদের কার্বন নিঃসরণের হার অনেকটাই কমবে, তবে জোরেশোরে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়ায় থাকা চীনে এ বছর কার্বন নিঃসরণ কমেছে মাত্র ১.৭ শতাংশ।
এ বছর বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে বড় অবদান পরিবহন খাতের। এপ্রিলে কভিড-১৯ মহামারির প্রথম ধাপে যাতায়াত ও পরিবহন অর্ধেকে নেমে আসায় এই নিঃসরণ কমে যায়। ডিসেম্বর নাগাদ বিমান চলাচলের কারণে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪০ শতাংশ এবং সড়ক পরিবহনে নিঃসরণ আগের বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ কমেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বে প্রতি বছর যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ হয় তার ২২ শতাংশই হয় শিল্পকারখানা থেকে। এ বছর কিছু দেশে কঠোর লকডাউনের কারণে এই খাতে কার্বন নিঃসরণের হার ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। সূত্র: এএফপি