এই চুক্তির আওতায় চীনের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সুইজারল্যান্ডে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারবেন এবং সুইজারল্যান্ড বা ইউরোপের অন্য কোনো দেশে অবৈধভাবে থাকা চীনা নাগরিকদের চীনে ফেরত নিয়ে যেতে পারবেন।
হং কং, ম্যাকাওসহ আরও ৫২টি দেশের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের একই ধরণের চুক্তি রয়েছে। তবে সেফগার্ড ডিফেন্ডার্সের আশঙ্কা, চীনের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারটি ভিন্ন। কারণ, এর ফলে চীনের অভিবাসন কর্মকর্তাদের বদলে জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয়কে বেশি ক্ষমতা প্রদান করা হচ্ছে।
সেফগার্ড জানায়, এসব কর্মকর্তা অবৈধ অভিবাসনের পাশাপাশি অনিয়মিত অভিবাসনও তদন্ত করতে পারেন।
সেফগার্ড ডিফেন্ডার্সের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক মাইকেল ক্যাসটার বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পরেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান প্রতিষ্ঠান জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয়। আর কমিউনিস্ট পার্টি এই মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেই তাদের ক্ষমতার প্রয়োগ করে থাকে।’
ক্যাসটার আরও বলেন, আসল প্রশ্ন হচ্ছে নিয়মিত ও পদ্ধতিগতভাবে মানবাধিকার লংঘন করছে এমন একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সুইজারল্যান্ড এ ধরণের একটি চুক্তি কেন করলো। বিশেষ করে চুক্তিতে যখন নজরদারি, গ্রেফতার এবং প্রত্যাবাসনের মতো ব্যাপারগুলো রয়েছে।
সুইস পত্রিকা জেজে আম সনট্যাগ এ বছরের আগস্টে এক প্রতিবেদনে জানায়, চীন ও সুইজারল্যান্ডের চুক্তিটি ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত হলেও তা জনগণের কাছে প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটিও এ বিষয়ে জানতো না।
চুক্তির কোনো নথি অনলাইনেও পাওয়া যায় না। সুইজারল্যান্ডের অভিবাসন বিষয়ক সচিবালয়ের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি লিঙ্ক থাকলেও লিঙ্কে গিয়ে কোনো নথি পাওয়া যায়নি বলে জানায় আল জাজিরা।
এ প্রসঙ্গে উক্ত সচিবালয়ের মুখপাত্র লুকাস রিডার আল জাজিরাকে বলেন, অনুরোধের ভিত্তিতে আমরা পূর্ণ নথি পাঠাই।’
রিডার আরও বলেন, ঝুঁকিতে আছেন অথবা নির্যাতনের শিকার হতে পারেন এমন কারোর তথ্য চীনা কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয় না। সূত্র আল জাজিরা