ভিডিও বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ঐতিহাসিক প্যারিস চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী পালন করছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা চুক্তিতে নির্ধারিত লক্ষ্যগুলোর ধারে কাছেও নেই। বাস্তবতা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের নিস্ত্রিয়তার জন্য না বিরতি নিচ্ছে, না আমাদের ছেড়ে দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও অভিযোজন ব্যবস্থায় বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃস্থানীয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এই প্রসঙ্গে সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই অভিযোজনেরও একটা সীমা আছে।
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) প্রেসিডেন্ট হিসেবে সিভিএফ ‘মিডনাইট সারভাইভাল ডেডলাইন ফর দ্য ক্লাইমেট’ উদ্যোগ চালু করার কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সারাদেশে সাড়ে ১১ মিলিয়ন গাছের চারা রোপণ কর্মসূচি এবং সুরক্ষিত টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ কর্মসূচি চালুর কথা উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এনডিসি এবং অভিযোজন লক্ষ্যমাত্রা টেকসইভাবে বাড়াতে প্রশমন প্রক্রিয়ায় আমরা বিদ্যমান জ্বালানি, শিল্প এবং পরিবহন খাত ছাড়াও আরও কিছু সম্ভাব্য সেক্টর যুক্ত করবো। আমরা আমাদের জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করছি। প্রতিবছর বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন সংবেদনশীল প্রকল্পগুলোতে ২ বিলিয়ন ডলার এবং অভিযোজন ব্যবস্থায় ৩ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে বলে জানান তিনি।