শীতের সময় প্রচণ্ড ঠান্ডায় যাতে কেউ অজু করতে অবহেলা না করে, সে কারণে অজু ও নামাজের প্রতি যত্নবান হতে এবং বড় পুরস্কার ও ফজিলতের কথা এভাবে ঘোষণা করেছেন বিশ্বনবি-
আমি কি তোমাদের এমন বিষয়ের সংবাদ দেব না! যার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা তোমাদের গোনাহসমূহ মিটিয়ে দেবেন (তোমাদের ক্ষমা করে দেবেন) আর (আল্লাহর কাছে) তোমাদের মর্যাদা ও সম্মান বৃদ্ধি করে দেবেন? সাহাবায়েকেরাম বললেন অবশ্যই, হে আল্লাহর রাসূল! নবী করিম (সা.) বললেন- (শীত বা অন্য যেকোনো ঠান্ডার) কষ্টকর মুহূর্তে ভালোভাবে অজু করা। (মুসলিম)
এ তো গেলো শীতসহ যে কোনো কষ্টকর সময়ে অজু করার ফজিলতের কথা। শীতের সময়ে নামাজ পড়ার বিষয়েও রয়েছে বিশেষ সুসংবাদ। হাদিসের বর্ণনায় তা এভাবে ওঠে এসেদছে-
হজরত আবু বকর ইবনু আবু মুসা (রা.) তার পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন-
‘যে ব্যক্তি দুই শীতের (ফজর ও আসরের) নামাজ আদায় করবে। সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (বুখারি)
মুমিন মুসলমানের কাছে কনকনে শীত ও ঠান্ডা আরেক ঈমানি জজবা বা উদ্দীপনার নাম। এ কারণেই প্রিয় নবি করিম (সা.) এর ঘোষণা অনুযায়ী জান্নাত ও গোনাহ থেকে মুক্তি লাভে শীতকালকে ইবাদতের বসন্তকাল হিসেবে বিবেচনা করে মুমিন।
আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসে ঘোষিত সুসংবাদ ও পুরস্কার লাভে কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশায় প্রচণ্ড ঠান্ডা উপক্ষো করে যথা সময়ে অজু ও নামাজ আদায়ে মনোযোগী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।