মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা কি মাকরুহ?

মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা কি মাকরুহ?

নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই স্বাভাবিক অবস্থায় চেহারা খোলা রেখে নামাজ আদায় করা উচিত। চেহারা ঢেকে নামাজ আদায় করা মাকরুহ। তাই বিশেষ কোনো ওজর না থাকলে মাস্ক পরে নামাজ আদায় করা মাকরুহ। হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,


أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ السَّدْلِ فِي الصَّلاَةِ وَأَنْ يُغَطِّيَ الرَّجُلُ فَاهُ


আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাঁধের দুই পাশে কাপড় ঝুলিয়ে নামাজ আদায় করতে এবং নামাজের সময় মুখ ঢাকতেও নিষেধ করেছেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৬৪৩)


তবে কেউ কোনো বিশেষ অসুবিধা ছাড়া মাস্ক পরে নামাজ আদায় করলে মাকরুহ হলেও নামাজ হয়ে যাবে। পুনরায় পড়তে হবে না। যেহেতু মাস্ক পরে নামাজ আদায় করা মাকরুহ, হারাম নয়।


আর শরিয়তে গ্রহণযোগ্য কোনো ওজর বা অসুবিধা থাকলে চেহারা ঢেকে নামাজ আদায় করা মাকরুহও হবে না। যেমন কেউ যদি সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত থাকে এবং জামাতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে পাশের মুসল্লির অসুবিধা হওয়ার আশংকা থাকে, তাহলে মাস্ক পরে নামাজ আদায় করতে পারে। তবে শুধু শীত থেকে বাঁচার জন্য নাক-মুখ ঢেকে নামাজে দাঁড়ানো অনুচিত। শীতের কাপড় শরীর, কান ও গলায় থাকতে পারে, নাক-মুখ খোলা রাখা উচিত।


প্রসঙ্গত, নামাজে নারীদের মুখমণ্ডল, কবজি পর্যন্ত দুই হাত ও টাখনু পর্যন্ত পা ছাড়া পূর্ণ শরীর ঢেকে রাখা ফরজ। পুরুষের নাভির নিচ থেকে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত ঢেকে রাখা ফরজ। অন্যান্য অঙ্গ অনাবৃত থাকলে নামাজ হয়ে যাবে, তবে বিনা কারণে মাথা, পেট-পিঠ, হাতের কনুই খোলা রেখে নামাজ পড়া পুরুষের জন্য মাকরুহ।


নামাজে যে অঙ্গগুলো ঢাকা ফরজ সে অঙ্গগুলোর কোনোটির চার ভাগের এক ভাগ বা এর বেশি যদি তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় অর্থাৎ তিনবার ‘সুবাহানা রাব্বিয়াল আজিম’ বলা যায় এই পরিমাণ সময় খোলা থাকে, তাহলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

যানবাহনে চলাচলের তাসবিহ ও দোয়া পড়ার নিয়ম
জুমার জন্য যে ৪ কাজ জরুরি
সৌদির নতুন গ্র্যান্ড মুফতি ড. শায়খ সালেহ বিন হুমাইদ
চাঁদ দেখা গেছে, রবিউস সানি মাস শুরু বুধবার
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপনে বর্ণাঢ্য জাতীয় কর্মসূচি
মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা কি মাকরুহ?
জুমার দিনের ১০ আমল
হজ ও ওমরাহ নিয়ে বিশাল সুখবর
জোহর-আসর নামাজের কেরাত আস্তে পড়তে হয় কেন?