কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক ক্রমাগত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে ‘গুরুতর উসকানি’ বলে মন্তব্য করেছে নয়াদিল্লির সরকারি সূত্র।
পাকিস্তান সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি যাচাই এবং ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত ন্যাভিগেশন প্রযুক্তি ও কৌশলগত কার্যকারিতা পরীক্ষা করতেই এই মহড়া। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফসহ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা সেনাবাহিনীর সক্ষমতা ও প্রস্তুতির প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন।
ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তান নিয়মিত যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করছে এবং সীমান্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিচ্ছে। পাশাপাশি, কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানি নেতাদের বিবৃতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
গত ২৯ এপ্রিল পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ মন্তব্য করেন, ভারত ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে হামলা চালাতে পারে। প্রতিরক্ষামন্ত্রীও একই দিন বলেন, ‘ঘটনা যদি ঘটে, তাহলে তা আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যেই ঘটবে।’
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের বৈসারণ উপত্যকায় সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ২৬ জন, যাদের মধ্যে ছিলেন এক নেপালি পর্যটক এবং এক স্থানীয় ঘোড়সওয়ার। বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।