বিশাল এই বাজেটে সেনাদের বেতন বাড়ানো এবং নতুন নতুন আধুনিক অস্ত্রের জোগানের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি ও আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে আনার নিয়মও কঠিন করা হয়েছে বিলটিতে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বিলটি আটকে দেয়ার জন্য সিনেটের রিপাবলিকান সদস্যদের অনুরোধ করেছিলেন। এমনকি সেটি করা না হলে তিনি বিলটিতে ভেটো দেবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন।
কিন্তু তার হুমকি ও আপত্তি উপেক্ষা করেই মার্কিন কংগ্রেস ৮৪-১৩ ভোটে বিলটি পাস করল। বিপুলসংখ্যক সদস্যের ভোটে বিলটি পাস হওয়ায় ট্রাম্পের ভেটো প্রয়োগেরও সুযোগ নেই। ওয়াশিংটন পোস্ট, আলজাজিরা।
রিপাবলিকান সিনেটররা নিজেদের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি আনুগত্য দেখাবেন নাকি দেশের ভেতরে ও বাইরে মার্কিন নিরাপত্তার বিষয়কে জোর দেবেন তা নিয়ে আশঙ্কা ছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান সিনেটররা অনেকটা মিলেমিশে ভোট দিয়ে পাস করলেন প্রতিরক্ষা বাজেট।
এই বিলটি যেমন আফগানিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া ও জার্মানি থেকে সেনা প্রত্যাহারে ট্রাম্পের ক্ষমতা খর্ব করেছে, তেমনি এর মাধ্যমে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বহির্বিশ্বে মার্কিন সামরিক তৎপরতা জোরদারের সুযোগ দিচ্ছে। বিলটিতে ২০২১ সালে বিদেশে সামরিক তৎপরতার জন্য ছয় হাজার ৯০০ কোটি ডলার বাজেট রাখা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা বাজেটে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত দেশের জন্য সামরিক সহায়তা করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে দখলদার ইসরাইলের জন্য তিন হাজার ১০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা।
এটি করা হচ্ছে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ইসরাইলের প্রতি ১০ বছরের প্রতিশ্রুতির আওতায়। ট্রাম্প প্রশাসন গত মাসে ঘোষণা করেছে ট্রাম্পের বিদায়ের আগে আফগানিস্তানে ৪৫০০ সেনার স্থানে কমিয়ে ২৫০০ করা হবে।
এই বিলে সে সংক্রান্ত একটি বিস্তারিত বিবরণ দেয়ার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের বাধ্যবাধকতা যুক্ত করা হয়েছে। তালেবানের সঙ্গে চলমান শান্তি আলোচনা ও পরবর্তী সিদ্ধান্তের বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনকেও বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে হবে।