আজ রোববার করোনার টিকার ক্রয়চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ৩ কোটি ডোজ টিকা কেনার ক্রয়চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির অধীনে জানুয়ারি থেকে শুরু করে পরবর্তী ছয় মাসে ৫০ লাখ করে মোট ৩ কোটি ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, অক্সফোর্ডের ৩ কোটি ডোজ টিকার পারচেজ ডকুমেন্টে (ক্রয়সংক্রান্ত কাগজপত্র) সই করেছি। এটা সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তারা ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এটি পেয়ে যাবে। আশা করছি, জানুয়ারি মাসের কোনো একসময় ভ্যাকসিন পাব। এর আগে অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন লাগবে। দেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদনের বিষয়ও আছে। আশা করছি, শিগগিরই অনুমোদন পাওয়া যাবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা ও অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করোনাভাইরাসের ৩ কোটি ডোজ টিকা কিনতে সমঝোতা চুক্তি করে সরকার। প্রত্যেক ব্যক্তির দুই ডোজ করে টিকা নিতে হবে। অর্থাৎ এই ৩ কোটি ডোজ টিকা বাংলাদেশের দেড় কোটি মানুষকে দেওয়া যাবে। বাংলাদেশে প্রতি ডোজ টিকার দাম পড়বে ৫ ডলার (৪২৫ টাকা)। সরকার এই টিকা কেনার জন্য ৭৩৫ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে। ৩ কোটি টিকা সরকার কিনবে; কিন্তু মানুষ বিনা মূল্যে পাবে।