কেন্দ্রীয় ব্যাংক রোববার রেমিটেন্স প্রবাহের যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ১০ দিনে ৮১ কোটি ৪০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
সব মিলিয়ে ১ জানুয়ারি থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে এসেছে ২০.৫০ বিলিয়ন ডলার, যা ২০১৯ সালের পুরো সময়ের চেয়ে প্রায় ১২ শতাংশ বেশি।
এর আগে এক বছরে বাংলাদেশে এত রেমিটেন্স আর কখনো আসেনি। ২০১৯ সালে ১৮ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-নভেম্বর পাঁচ মাসে মোট ১০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল।
এই হিসাবে ২০২০-২১ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে মোট ১১.৭০ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছে দেশে। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে রেমিটেন্স বেড়েছে ৪৩ শতাংশ।
আর ২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষ ছয় মাসে (২০০০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন) এসেছিল ৮ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল দেশে, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।
মহামারীর কারণে রেমিটেন্স কমে যাবে বলে ধারণা করা হলেও তা ঘটেনি। মহামারীর আঁচ বিশ্বের অর্থনীতিতে লাগার পর গত এপ্রিল মাসে রেমিটেন্স কমলেও এরপর আবার বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, মহামারীর এই কঠিন সময়েও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বেড়েই চলেছে। আর এ কারণেই বছর শেষ না হতেই ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। বছর শেষে তা ২২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে বলে আশা করছি।
২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট ১৮.২০ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা। ওই অঙ্ক ছিল আগের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে ১০.৮৭ শতাংশ বেশি।
দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বিভিন্ন দেশে থাকা ১ কোটির বেশি বাংলাদেশির পাঠানো এই অর্থ। দেশের জিডিপিতে সবমিলিয়ে রেমিটেন্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো।
রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে গত অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।