তিনি বলেন, নতুন কোম্পানি আইনে এক ব্যক্তির কোম্পানি গঠনের সুযোগ রাখা হয়েছে। এতে এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলো উপকৃত হবে। আজকের আলোচনায় বেশকিছু বিষয় উঠে এসেছে। এগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করব।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট শামস মাহমুদ বলেন, কোম্পানি আইন যুগোপযোগী করার জন্য আমরা দীর্ঘদিন থেকে দাবি জানিয়ে আসছিলাম। শেষ পর্যন্ত এটি বাস্তবায়ন হয়েছে। তবে আইনের কিছু বিষয় আরো সহজ করার সুযোগ রয়েছে। যেমন রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের (আরজেএসসি) কাছ থেকে নিবন্ধন নেয়ার পর ট্রেড লাইসেন্সের বাধ্যবাধকতা রাখার প্রয়োজন নেই। ছোট কোম্পানির ব্যয়ভার কমাতে আরো ছাড় দেয়া প্রয়োজন। প্রয়োজনে আইনি সব বাধ্যবাধকতা পরিপালনে কোম্পানিগুলোকে তিন থেকে পাঁচ বছর সময় দেয়া যেতে পারে।
প্যানেল আলোচনায় স্পেন বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এসবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট নুরিয়া লোপেজ বলেন, এক ব্যক্তির কোম্পানি গঠনের সুযোগ এসএমই খাতের জন্য ভালো একটি উদ্যোগ। যেকোনো পরিবর্তনই ইতিবাচক। তাছাড়া আইনে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারের বিষয়ে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে, সেটিও ইতিবাচক।
বিল্ডের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম খান বলেন, ছোট প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে এক ব্যক্তির কোম্পানি গঠনের সুযোগ রাখার কথা বলা হলেও মূলধন ও বার্ষিক টার্নওভারের পরিমাণ বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি কমানো উচিত। অনেক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আইনে উল্লেখিত সীমা অনুসারে মূলধন ও টার্নওভার অর্জন করা সম্ভব হবে না।
ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেরিন মাহমুদ হোসেন। ওয়েবিনার সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন স্নেহাশীষ বড়ুয়া এফসিএ। আর ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সুকান্ত ভট্টাচার্য এফসিএ।