সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা মাঠপর্যায়ের ভূমি অফিসের করণীয় বিষয়ক এক দিকনির্দেশনামূলক পরিপত্রে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়।
নামজারি/ই-নামজারি খতিয়ানের ভিত্তিতে জমির দলিল রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলেও এর ভিত্তিতে মালিকানা পরিবর্তন হলে সে ক্ষেত্রে সংশ্নিষ্ট বিধান প্রযোজ্য হবে। এ ক্ষেত্রে প্রচলিত পদ্ধতি অনুসরণ করার প্রয়োজন হবে না। সংশ্নিষ্ট ইউনিয়ন/পৌর ভূমি অফিস, সার্ভেয়ার/কানুনগোর সরেজমিন তদন্তের আবশ্যকতা নেই বলেও নির্দেশনা রয়েছে পরিপত্রে।
প্রসঙ্গত, জমি হস্তান্তর দলিল রেজিস্ট্রেশন করার সময় সাব-রেজিস্ট্রার তিন কপি দলিল সম্পাদন করবেন। এর মধ্যে একটি কপি দলিল গ্রহীতা পাবেন, দ্বিতীয় কপি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস সংরক্ষণ করবে ও তৃতীয় কপি ও এলটি নোটিশের একটি পরিচ্ছন্ন কপি সংশ্নিষ্ট উপজেলা/সার্কেল ভূমি অফিসে পাঠাতে হবে।
দলিলের কপি ও এলটি নোটিশের কপি ভূমি অফিসে পৌঁছানোর পর প্রচলিত বিধান অনুযায়ী নামজারির ফি ও সার্ভিস চার্জ পরিশোধ করা ও দলিল অবিকল নকল কপিসহ উপস্থিত হয়ে শুনানি গ্রহণের জন্য সর্বোচ্চ চার কার্যদিবসের মধ্যে সময় দিয়ে দলিল গ্রহীতাকে ই-মেইল/মেসেজ দিতে হবে। এ ছাড়া দলিলের কপি ও এলটি নোটিশ এসিল্যান্ডের কাছে পৌঁছানোর তারিখ হতে পরবর্তী আট কার্যদিবসের মধ্যে নামজারি সম্পন্ন করতে হবে।