বিশ্বের শীর্ষ রসুন উৎপাদনকারী ও রফতানিকারক দেশ হচ্ছে চীন। পণ্যটির মোট বৈশ্বিক রফতানি বাণিজ্যের ৭১ দশমিক ৩ শতাংশ চীনের দখলে। দেশটির সরকারি তথ্য মতে, ২০২০ সালের জানুয়ারি-অক্টোবর সময়ে চীন থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ১৭ লাখ ২০ হাজার টন রসুন (তাজা ও প্রক্রিয়াজাত করা) রফতানি হয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে দেশটি থেকে মসলাপণ্যটির রফতানি বেড়েছে ৩২ দশমিক ৩১ শতাংশ। ২০১৯ সালের প্রথম ১০ মাসে চীনা রফতানিকারকরা সব মিলিয়ে ১৩ লাখ টন রসুন রফতানি করেছিলেন। সেই হিসাবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে চীন থেকে মসলাপণ্যটির রফতানি বেড়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার টন।
সর্বশেষ অক্টোবরে চীন থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ১ লাখ ৫৪ হাজার ১০০ টন রসুন রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি। গত বছরের অক্টোবরে দেশটি থেকে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬০০ টন রসুন রফতানি হয়েছিল। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে দেশটি থেকে মসলাপণ্যটির রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯ হাজার ৫০০ টন।
করোনাভাইরাস চীন থেকেই পুরো বিশ্বে ছড়িয়েছে। এ কারণে চলতি বছরের শুরুর দিকে টানা লকডাউন চলমান থাকায় চীনের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম অনেকটাই শ্লথ হয়ে এসেছিল। এর পরও বছরের প্রথম ১০ মাসে রসুন রফতানিতে ৩২ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে দেশটি। এর মধ্য দিয়ে মসলাপণ্যটির বৈশ্বিক রফতানি বাজারে নিজের শীর্ষ অবস্থান আরো পোক্ত করেছে চীন।
কোভিড-১৯ এর মধ্যেও চীনা রফতানিকারকরা ইন্দোনেশিয়ার বাজারে রসুন রফতানি বাড়িয়েছেন। একই সঙ্গে চীন থেকে চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোয় রসুন রফতানি আগের তুলনায় বেড়েছে। তবে বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় সংক্রমণের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ায় আগামী দিনগুলোয় চীনের রসুন রফতানি খাত নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।