আজ বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) দ্বিপাক্ষিক ভার্চ্যুয়াল বৈঠক এবং কয়েকটি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিন এ কথা বলেন। এ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নয়াদিল্লি থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেশ কিছু সংখ্যক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশের উৎপাদন ও সেবাখাতে নিযুক্ত রয়েছেন এবং তারা ভারতে নিজ দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে থাকেন। অন্যদিকে, বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক পর্যটক এবং চিকিৎসাসেবা গ্রহণকারীকে ভারত গ্রহণ করে থাকে।
তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আমাদের চলমান যোগাযোগের উদ্যোগগুলো এক্ষেত্রে অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে। এর অন্যতম উদাহরণ হলো ‘চিলাহাটি-হলদিবাড়ি’ রেল সংযোগ পুনরায় চালু করা- যা আমরা আজ উদ্বোধন করছি।
বাংলাদেশ ও ভারতের যোগাযোগ বাড়াতে উভয় দেশের নেওয়া উদ্যোগগুলোর কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ২০২০ সাল জুড়ে রেলরুট দিয়ে বাণিজ্য, উচ্চ-পর্যায়ের পরিদর্শন ও সভা, সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ, কলকাতা থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতে ভারতীয় পণ্যের প্রথম পরীক্ষামূলক চালান পাঠানো এবং অবশ্যই, কোভিড-১৯ বিষয়ে সহযোগিতার মতো বিভিন্ন উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি।
কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক সরবরাহ চেইনে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটা এবং ভোক্তাদের চাহিদা হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও আমাদের অর্থনীতি ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ডিসেম্বরে বাংলাদেশের মানুষ আনন্দ, মুক্তি এবং উদযাপনের চেতনায় উদ্বেলিত হয়ে ওঠে। গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে; যার গতিশীল নেতৃত্বে আমরা মহান স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং নির্যাতনের শিকার দুই লাখ মা-বোনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।