আজ বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ সংক্রান্ত রিপোর্ট দাখিল করে দুদক। রিপোর্ট দিয়েছে আরো ৪ টি সংস্থা।
প্রতিবেদনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অর্থপাচারের তথ্য দিতে সব মিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা রিপোর্ট দিলে তা আদালতে দাখিল করা হবে। আর কানাডায় অর্থপাচারের বিষয়ে সে দেশের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএফআইইউ।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, এখন পর্যন্ত যে হিসাব করেছি তাতে দেখা যাচ্ছে যে এখানে শতাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন। প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মত লন্ডারিং হয়েছে। তবে এই টাকাটাই শেষ না। কারণ যে মামলাগুলো ইনকুয়েরি এবং ইনভেস্টিগেশনে আছে সেখানে টাকার পরিমাণ, মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়ে যেতে পারে। তবে আজকে পর্যন্ত যে তথ্য উপাত্ত আমরা আদালতে দাখিল করেছি তাতে আমার হিসাবে প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং শতাধিক ব্যক্তি এখানে জড়িত।
সিআইডি জানিয়েছে, ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সম্রাটসহ ৭ জন এবং এক হ্যাকারসহ ৮ জনের অর্থপাচারের তথ্য দাখিল করা হয়েছে। এছাড়া রিপোর্ট জমা দিয়েছে এনবিআরও।
এর আগে সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) কানাডার বেগমপাড়ায় অর্থপাচারকারীদের তালিকার বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরসহ সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।