অ্যামাজনের বৈশ্বিক পাবলিক সেক্টরের ভাইস প্রেসিডেন্ট তেরেসা কার্লসন বলেন, বিশ্বজুড়ে বিপুলসংখ্যক মানুষকে এডব্লিউএসের ডিজাইন করা প্রোগ্রামগুলোর মাধ্যমে প্রশিক্ষণের সুযোগ দেয়া হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন সময়সূচি ও শেখার লক্ষ্য অর্জনের জন্য নতুন কোর্স ডিজাইন করা হবে।
‘এডব্লিউএস: রি-ইনভেন্ট ২০২০’ শীর্ষক ভার্চুয়াল বার্ষিক সম্মেলনে এক বিজ্ঞপ্তিতে কার্লসন জানিয়েছেন, আমরা দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে সব পেশাজীবী ও সর্বস্তরের মানুষের বিনা মূল্যে ক্লাউড কম্পিউটিং দক্ষতা প্রশিক্ষণের জন্য কয়েক কোটি ডলার বিনিয়োগ কার্যক্রম শুরু করেছি। প্রশিক্ষণটিতে নির্দিষ্ট বিষয় শিখতে নিজের ইচ্ছামতো সময়কাল ঠিক করা যাবে এবং এর মাধ্যমে তারা নিজেদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা হালনাগাদ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, আমরা পাঁচ শতাধিক ফ্রি কোর্স, ইন্টার্যাকটিভ ল্যাব ও দিনব্যাপী ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ সেশনের ব্যবস্থা করছি। ক্লাউড প্রযুক্তি নিয়ে নিজস্ব গতিতে শিখতে থাকা ব্যক্তিদের এডব্লিউএস ট্রেইনিং অ্যান্ড সার্টিফিকেশন ও এডব্লিউএস এডুকেট নামে দুটি শক্তিশালী ব্যবস্থা রয়েছে। চলতি বছর এডব্লিউএস ট্রেইনিং অ্যান্ড সার্টিফিকেশন শত শত ফ্রি কোর্স ছাড়াও ৫০টি নতুন ডিজিটাল কোর্স চালু করেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরো কনটেন্ট ও শেখার নতুন নতুন উপায় যুক্ত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এডব্লিউএস সার্টিফিকেশনসের জন্য লোকদের প্রস্তুত করতে বিনা মূল্যে ডিজিটাল প্রশিক্ষণ এবং পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক কোর্সে বিনিয়োগ করা চালিয়ে যাব। এডব্লিউএস সার্টিফিকেশনস অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসের সঙ্গে কাজ করার দক্ষতা তুলে ধরে। গত বছর এক লাখ অ্যামাজন কর্মীর প্রশিক্ষণের জন্য ৭০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের সময় সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে ২ কোটি ৯০ লাখ মানুষকে প্রশিক্ষণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বর্তমান পদক্ষেপ ওই প্রতিশ্রুতিরই ফল।
মহামারী করোনাভাইরাস অনেক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিলেও ই-কমার্স ও ক্লাউড কম্পিউটিং জায়ান্ট অ্যামাজনের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে। গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে কোভিড-১০ এর প্রাদুর্ভাবের পর সব ধরনের শিল্প খাত আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়লেও অ্যামাজনের ক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যায় থেকে গত মে পর্যন্ত সাড়ে তিন মাসে অ্যামাজনের বাজার মূলধন বেড়েছে ৯ হাজার কোটি ডলার।