জিডিপিতে ৯ শতাংশ অবদান লিস্টেড কোম্পানির: এফআরসি’র চেয়াম্যান

জিডিপিতে ৯ শতাংশ অবদান লিস্টেড কোম্পানির: এফআরসি’র চেয়াম্যান
এফআরসি’র চেয়াম্যান ড. মো. হামিদ উল্লাহ ভূইয়া বলেন, লিস্টেড কোম্পানি দেশের জিডিপি খাতে অবদান রাখছে মাত্র ৯ শতাংশ। যেটি খুবই কম। যদি কোম্পানি গুলো সঠিক নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরনী জমা দেয় তাহলে এনবিআরের রাজস্ব আরো আনেক বৃদ্ধি পাবে।

মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর ) এফআরসি এবং আইসিএবি'র মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ডিভিএস কার্যকরী হলে দুই বা তিন ধরনের আর্থিক বিবরনী তৈরি করা বন্ধ হবে। একটি একক নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরনী তৈরির প্রবনতা তৈরি হবে। এই সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত হওয়ার পর এফআরসি’র প্রধান যে লক্ষ্য-আর্থিক বিবরণী মনিটর করা-তা অর্জিত হবে। আর্থিক বিরবণীর ট্রু এন্ড ফেয়ার ভিউ যাচাই করা সম্ভব হবে। নিরীক্ষামান বৃদ্ধিতে আগামীতে আইসিএবি এবং এফআরসি একযোগে কাজ করবে। ফলে দেশের উন্নয়ন আরো গতিশীল হবে।

আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষা চর্চায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতাসহ করপোরেট খাতে সুশাষন নিশ্চিত করার জন্য ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি) এবং দি ইনিস্টিটিউট অফ চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) সাথে একটি সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এফআরসি’র চেয়াম্যান ড. মো. হামিদ উল্লাহ ভূইয়া এবং আইসিএবি’র প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ ফারুক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

আইসিএবি প্রেসিডেন্ট বলেন, ডিভিএস ব্যবসায়কি সম্প্রদায় ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে ইতোমধ্যে বেশ গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। ভিভিএসকে কার্যকর করার জন্য সিএ ফার্ম প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে আইসিএবি। দেশে হিসাব ব্যবস্থাকে গ্রহণযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য করে তুলতে ডিভিএস কার্যকরী হবে। একই প্রতিবেদন দুই জন নিরীক্ষক স্বাক্ষর করেন। একাধিক নিরীক্ষা প্রতবেদন তৈরী করার প্রবণতা রোধ করা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করার জন্য আইসিএবি এই ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেম চালু করা হয়েছে।

ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ডিভিএস) সফটওয়্যার এর উপর উপস্থাপনা তুলে ধরেন আইসিএবি’র ভাইস প্রেডিডেন্ট মুহাম্মদ ফোরকান উদ্দীন এফসিএ । কিভাবে পুরো ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ডিভিএস) সফটওয়্যার কাজ করবে তিনি তার দেন । ১ ডিসেম্বর ২০২০ থেকে আইসিএবির সদস্যরা বিভিন্ন কোম্পানির যত হিসাব নিরীক্ষা করেছে, সেগুলোর প্রায় সব তথ্য তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে ওই সফটওয়্যারে দেওয়া আছে। কোম্পানির মোট আয়-ব্যয়সহ কিছু সাধারণ তথ্য এই সফটওয়্যার এ দিতে হবে। যা কোড দিয়ে প্রবেশ করলেই দেখা যাবে।

তিনি আরো বলেন, ডিভিএস এর মতো ‘ইউনিক ডকুমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার’ ইন্ডিয়াতে চালু আছে। একাধিক নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করার বন্ধের লক্ষে এই ডিভিএস তৈরির পরিকল্পনা করে আইসিএবি।

এছাড়াও তিনি বলেন, প্রতিবছর ১৬ হাজার নিরীক্ষা প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করে আইসিএব এর নিবন্ধিত নরীক্ষকরা। রেজিস্টার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজে (আর জে এসসি) প্রতি বছর জমাপড়ে ৪৬ হাজার নিরীক্ষা প্রতিবেদন। ডিভিএস চালুর পরে বাকি ৩০ হাজার কোম্পানী নিরীক্ষা জালিয়াতি করতে পারবে না। ফলে সরকারের রাজস্ব আয় অনেক বৃদ্ধি পাবে। দেশের অর্থনীতি আরো শক্তিশালী হবে। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ছাড়া কোন ব্যাংক লোন নয়। এ বিষয়ে নির্দেশনার জন্য এফআরসিকে ধন্যবাদ তিনি। আইসিএবি এবং এফআরসি যৌথভাবে কাজ করলে এদেশের আর্থিক খাতে দূর্নীতি বন্ধ হবে। দেশ অর্থনৈতিকভাবে শাক্তিশালী হবে। দেশে এখনো সাড়ে চার লক্ষ কোটি টাকা ঋণ খেলাপী। ডিভিএস এই ঋণ খেলাপীর সংস্কৃতি বন্ধ করবে বলে তিনি আশাবাদী।

আইসিএবি’র এই ডাটাবেজ পুরো আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সহ অন্যান্য রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠান এই ডাটাবেজ ব্যবহার করতে পারবে। তবে এজন্য তাদের এমওইউ করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এফআরসি নির্বাহী পরিচালক, মো. আনোয়ারুল করিম, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ, মো. সাইদ আহমেদ, আইসিএবি’র প্রেসিডেন্ট মাহমুদউল হাসান খসরু ও সাবেক প্রেসিডেন্ট কামরুল আবেদীন । আইসিএবি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশীষ বোস সমাপনী বক্তব্য রাখেন।

 

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
গ্রাহক সংখ্যায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠান নগদ
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
প্রথম দিনেই ২ লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেলো ইভ্যালি
তিন মাসের মধ্যে সব দেনা পরিশোধ শুরু করবো
পোশাকশিল্পকে রাজনৈতিক হাতিয়ার না বানানোর অনুরোধ
এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশ