সূত্র মতে, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) লটারির মাধ্যমে বরাদ্দকৃত শেয়ার রোববার সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডারদের বিও অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়। গত ১০ ডিসেম্বর রবির আইপিও লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছরের ১৭-২৩ নভেম্বর কোম্পানিটির আইপিওর চাঁদা গ্রহণ চলে। এই সময়ে রবির আইপিও শেয়ারের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মিলে ২ হাজার ২২৭ কোটি টাকার আবেদন করেছে। এর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১৫৮৭ কোটি টাকার ও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৬৪০ কোটি টাকার আবেদন করেছে। যা নির্ধারিত আবেদনের চেয়ে ৫ দশমিক ৭৪ গুণ বেশি।
এর আগে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৪১তম কমিশন সভায় রবিকে ১০ টাকা ইস্যু মূল্যে ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি সাধারণ শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দেয়া হয়। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহ করবে রবি। আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত তহবিল থেকে প্রতিষ্ঠানটি ৫১৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও বাকি ৮ কোটি ২ লাখ টাকা আইপিওর ব্যয় নির্বাহ খাতে খরচ করবে।
চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রবির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৫ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ২৪ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর রবির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৮৩ পয়সা, ৩১ ডিসেম্বর যা ছিল ১২ টাকা ৬৪ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, হিসাব বছর শেষে পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া রবির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১২ টাকা ৬৪ পয়সা। সমাপ্ত হিসাব বছরে রবির ইপিএস হয়েছে ৪ পয়সা। আর গত পাঁচ হিসাব বছরের ভারিত গড় হারে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ১৩ পয়সা।