এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করা বিজিডি ই-গভ সার্ট-এর প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের এ অর্জনে সাইবার নিরাপত্তা বিধানে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতিফলন যা ভবিষ্যতে আরো দক্ষতার সঙ্গে সাইবার হামলা প্রতিহত করতে উৎসাহিত করবে এবং সাইবার নিরাপত্তায় বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
তালিকায় স্থান পাওয়া দেশগুলোর মৌলিক সাইবার হামলা প্রতিরোধে প্রস্তুতি এবং সাইবার ঘটনা, অপরাধ ও বড় ধরনের সংকট ব্যবস্থাপনায় তৎপরতা মূল্যায়ন করে সূচকটি তৈরি করেছে এনসিএসআই।
পাঁচটি ধাপে এই সূচক তৈরি করা হয়: জাতীয় পর্যায়ের সাইবার হুমকি শনাক্তকরণ; জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সক্ষমতা শনাক্তকরণ; গুরুত্বপূর্ণ এবং পরিমাপযোগ্য বিষয়াদির নির্বাচন; সাইবার নিরাপত্তা সূচকসমূহের উন্নয়ন; সাইবার সিকিউরিটি সূচকগুরোকে তাদের বিষয় অনুযায়ী বিন্যাসকরা।
এনসিএসআইয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সূচক অনুযায়ী, ৯৬ দশমিক ১০ স্কোর পেয়ে প্রথম অবস্থানে রয়েছে গ্রিস। ৯২ দশমিক ২১ ও ৯০ দশমিক ৯১ স্কোর পেয়ে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে চেক রিপাবলিক ও এস্তোনিয়া।
এদিকেসূচকে ৪৪ দশমিক ১৬ পাওয়া বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ছাড়া সবগুলো দেশ থেকে এগিয়ে রয়েছে। পাকিস্তান সূচকের ৬৬তম (স্কোর ৪২.৮৬), নেপাল ৯৩তম (২৮.৫৭), শ্রীলংকা ৯৮তম (২৭.২৭), ভুটান ১১৫তম (১৮.১৮), আফগানিস্তান ১৩২তম (১১.৬৯), মিয়ানমার ১৩৯তম (১০.৩৯) অবস্থানে রয়েছে।