গতকাল ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে তামাক কোম্পানিটি এ বিষয়ে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) এর সাথে একটি চুক্তি সম্পাদন করে। ঈশ্বরদী রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় তারা এই কারখানাটি স্থাপন করবে জানা যায়।
তথ্য মতে, জনস্বাস্থ্যের বিপরীতে একটি মৃত্যুবিপণনকারী প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ প্রদান অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লক্ষ ২৬ হাজার মানুষ তামাক ব্যবহারের কারণে অকালে মারা যায় এবং পঙ্গুত্ব বরণ করে আরো কয়েক লক্ষ মানুষ। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সুতরাং রাষ্ট্র কোনোভাবেই এই মৃত্যু বিপণনকে উৎসাহিত করতে পারেনা।
তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা’র (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী তামাক ব্যবহারের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তামাক কোম্পানিকে উৎসাহিত করে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন সম্ভব নয়'।
তিনি আরো বলেন, কেবল রপ্তানির উদ্দেশ্যে সিগারেট কারখানা স্থাপন করা হলেও দেশে তামাক চাষ এবং উৎপাদন দুটোই বেড়ে যাবে। তামাক নিয়ন্ত্রণের আন্তর্জাতিক চুক্তি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল- এফসিটিসি’র প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে বহুল সমাদৃত। তামাকপণ্য রপ্তানি বিশ্বকে নেতিবাচক বার্তা প্রদান করবে।
তামাকের ভয়াবহতা থেকে জাতিকে রক্ষার জন্য এবং তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের পথ সুগম করতে অবিলম্বে এ ধরনের উদ্যোগ প্রত্যাহারের দাবি বিশেষজ্ঞদের ।