এখনো চাঙ্গা এশিয়ার বাজারে চালের দাম

এখনো চাঙ্গা এশিয়ার বাজারে চালের দাম
এশিয়ার রফতানিকারক দেশগুলোয় চালের বাজার পরিস্থিতি আগে থেকেই চাঙ্গা করে রেখেছিল। সর্বশেষ সপ্তাহে তা আরো জোরালো হয়েছে। এ সময় ভারত ও থাইল্যান্ডে খাদ্যপণ্যটির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। চালের দাম অপরিবর্তিত ছিল ভিয়েতনামে। তবে পরিবর্তন না হলেও এখনো দেশটির বাজারে তুলনামূলক বেশি রয়েছে খাদ্যপণ্যটির দাম। রয়টার্স ও বিজনেস রেকর্ডার সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

বিশ্বের শীর্ষ চাল রফতানিকারক দেশ হলো ভারত। সর্বশেষ সপ্তাহে দেশটির বাজারে প্রতি টন রফতানিযোগ্য ৫ শতাংশ ভাঙা চাল ৩৮১-৩৮৭ ডলারে বিক্রি হয়েছে। আগের সপ্তাহে খাদ্যপণ্যটি টনপ্রতি ৩৮০-৩৮৫ ডলারে বিক্রি হয়েছিল। সে হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভারতের বাজারে রফতানিযোগ্য চালের দাম টনে সর্বোচ্চ ২ ডলার বেড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, ভারতের বাজারে রফতানিযোগ্য চালের এ মূল্যবৃদ্ধিতে প্রভাবক ছিল বাংলাদেশ ও আফ্রিকার দেশগুলোয় বাড়তি চাহিদা। প্রায় তিন বছর পর বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে দেড় লাখ টন চাল আমদানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। চাহিদা বেড়েছে আফ্রিকার দেশগুলোতেও। এর জের ধরে ভারতের বাজারে দীর্ঘমেয়াদে চাঙ্গা রয়েছে রফতানিযোগ্য চালের দাম।

চাল রফতানিকারক দেশগুলোর বৈশ্বিক শীর্ষ তালিকায় বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ড। সর্বশেষ সপ্তাহে দেশটির বাজারে প্রতি টন রফতানিযোগ্য ৫ শতাংশ ভাঙা চাল ৫১৬-৫২০ ডলারে বিক্রি হয়েছে। আগের সপ্তাহে খাদ্যপণ্যটি টনপ্রতি ৫০০-৫১৯ ডলারে বিক্রি হয়েছিল। গত জুনের মাঝামাঝি সময়ের পর এটাই থাই চালের সর্বোচ্চ দাম।

ব্যাংককভিত্তিক ব্যবসায়ীরা জানান, থাইল্যান্ডের বাজারে একদিকে চালের সরবরাহ সীমিত হয়ে এসেছে, অন্যদিকে রফতানি বাজারে থাই চালের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। এর জের ধরে দেশটিতে বাড়তির পথে রয়েছে রফতানিযোগ্য চালের দাম। নতুন মৌসুমের চাল বাজারে আসার আগে থাইল্যান্ডে খাদ্যপণ্যটির দাম কমার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

তবে ভারত ও থাইল্যান্ডে বাড়লেও বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ চাল রফতানিকারক দেশ ভিয়েতনামে খাদ্যপণ্যটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সর্বশেষ সপ্তাহে দেশটির বাজারে প্রতি টন রফতানিযোগ্য ৫ শতাংশ ভাঙা চালের দাম ছিল ৫০০ ডলার। তবে আগের সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত থাকলেও ২০১১ সালের ডিসেম্বরের পর সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ভিয়েতনামিজ চাল।

দেশটির রফতানিকারকরা জানান, করোনা মহামারী চলতি বছর ভিয়েতনাম থেকে চাল রফতানি কমিয়ে দিতে পারে। তবে বছরের শেষ ভাগে এসে ভিয়েতনামিজ চালের রফতানি চাহিদা চাঙ্গা রয়েছে। এটাই দেশটির বাজারে চালের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

আগামী বছর দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে চাল রফতানির সম্মিলিত পরিমাণ ৬০-৬২ লাখ টনে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। আগের প্রাক্কলনে দেশটির সরকার চাল রফতানির সম্ভাব্য বার্ষিক পরিমাণ ৬৫ লাখ টন উল্লেখ করেছিল।

 

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পোশাকখাতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে, কমে গেছে চাহিদা
২০২৩ সালে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১৩ শতাংশ
২০২৩ সালে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ১০ শতাংশ
ইভ্যালিতে বড় অফার আজ, ১০ টাকায় মিলবে পাঞ্জাবি
হিলিতে আদা-সবজিতে স্বস্তি, বাড়তি দামে রসুন
বাংলাদেশে বিনিয়োগের ঐক্যমতে শেষ হলো গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্স
১১ মাসে ৪৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি
২০২৪ সালে ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর
আইসিএবির নতুন সভাপতি ফোরকান উদ্দীণ
বিসিক শিল্পনগরীতে এক হাজার ৯৮ প্লট খালি