আবাসিক হল বন্ধ রেখে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক’ উল্লেখ করে শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদের দপ্তর সম্পাদক পিয়াস পাণ্ডে স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদের দপ্তর সম্পাদক পিয়াস পাণ্ডে স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আবাসিক হল বন্ধ রেখে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক ও অবিবেচনাপ্রসূত। একদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বন্ধ; অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী এলাকায় আবাসন সুবিধা অপর্যাপ্ত। ফলে আবাসন নিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হবেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া মেসেও একই রুমে একাধিক শিক্ষার্থী থাকলে; করোনা সংক্রমিত হওয়ার শঙ্কা আরও বেশি। তাই আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরীক্ষা গ্রহণ করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।’
ছাত্র মৈত্রী ইবি শাখার দপ্তর সম্পাদক আশিকুর রহমান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আবাসিক সুবিধা ছাড়া পরীক্ষা গ্রহণ করলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে পরীক্ষা দেবে। এতে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার বাড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক হল খুলে দিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করলে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমবে।’
এ বিষয়ে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার জোদ্দার বলেন, হল খোলার বিষয়টি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এক্ষেত্রে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নেবে; আমরা হল কর্তৃপক্ষ সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমরাও একমত। কিন্তু অভিভাবকত্বের জায়গা থেকে করোনার বিষয়টিও আমাদের ভাবতে হচ্ছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে লক্ষ্য রাখছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৯তম একাডেমিক কাউন্সিল সভায় আবাসিক হল বন্ধ রেখে স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকেই হল খুলে দিয়ে পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ করছে শিক্ষার্থীরা।