শুক্রবার প্রথমবারের মতো অনলাইনে দেওয়া বড়দিনের বক্তব্যে তিনি করোনার চিকিৎসায় কোনো ধরণের ‘দেয়াল’ তোলার বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক করেন।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার মধ্য দিয়ে ঈশ্বরপুত্র রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় নেতৃবৃন্দের ভেতরে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার চেতনা আবার জাগিয়ে তুলুন। যেন সবার জন্য ভ্যাকসিন ও চিকিত্সা নিশ্চিত করা যায়।’
‘এমন একটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি আমরা, যার সীমানা নেই। আমরা কোনো দেয়াল তুলতে পারি না। প্রত্যেকে আমরা একই নৌকায় বসে আছি’, বলেন পোপ।
বিশ্বব্যাপী চলমান স্বাস্থ্য সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এতে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বিশ্বের মধ্যে ঐক্যকে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় করে তুলেছে।’
তিনি বলেন, ‘ইতিহাসের এ সময়ে পরিবেশগত সঙ্কট এবং করোনাভাইরাসের কারণে মারাত্মক অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভারসাম্যহীনতা তৈরি হওয়ায়, প্রত্যেককে প্রত্যেকের ভ্রাতা-ভগিনী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’
করোনা টিকা অনুমোদনের পর ধনী দেশগুলো আনুপাতিক হারে বেশি করে ভ্যাকসিনের ডোজ কিনছে বলে দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তৈরির মুহূর্তে পোপ এমন বক্তব্য রাখলেন।
মহামারির কারণে এ বছর ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটারস ব্যাসিলিকার বারান্দা থেকে বড়দিনের বার্ষিক বার্তা উপস্থাপন করেননি পোপ।
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান এই ধর্মগুরু মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি উদারতা ও সহায়তার আহ্বান জানান। বক্তব্যে তিনি লকডাউনের মধ্যে ঘরে নারীর প্রতি সহিংসতার বিষয়টিও তুলে ধরেন।
এসময় তিনি সিরিয়া, ইয়েমেন, লিবিয়া, নাগরনো-কারাবাখ, দক্ষিণ সুদান, নাইজেরিয়া, ক্যামেরুন ও ইরাকে বিভেদ মিটিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।