নেভারল্যান্ড র্যাঞ্চ ২৭০০ একর জায়গায় বিস্তৃত। মাইকেল জ্যাকসন মারা যাওয়ার পর প্রথমে বাড়িটি ১০ কোটি ডলারে বিক্রির কথা বলা হয়। তখন থেকেই সান্তা বারবারা শহরের উত্তরে অবস্থিত নেভারল্যান্ড মার্কেটে অন-অফ হচ্ছিল। অর্থাৎ বিক্রির তালিকায় কখনো উঠছিল। আবার নেমে যাচ্ছিল। তবে গত বছর এর দাম ওঠে সর্বনিম্ন ৩ কোটি ১০ লাখ ডলার।
নেভারল্যান্ড র্যাঞ্চের জন্য মাইকেল জ্যাকসন পরিশোধ করেছিলেন ১ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। তারপর তিনি এ বাড়ির নাম রাখেন নেভারল্যান্ড র্যাঞ্চ। জেএম বেরির লেখা পিটার প্যান কাহিনীর ওপর ভিত্তি করে বাড়িটির নাম রাখেন নেভারল্যান্ড র্যাঞ্চ। এর অর্থ হলো, যেখানে শিশুরা বড় হয় না। ‘থ্রিলার’ গায়ক মাইকেল জ্যাকসন বাড়িটি কিনেছিলেন ১৯৮৭ সালে।
তখন তার খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। এমন কোনো দেশ নেই, যেখানকার মানুষ তাকে চেনেন না। তিনি বাড়িটিকে নিজের বাসভবন হিসেবে ব্যবহার করেন। এ বাড়িকে তিনি একটি বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত করেন। বাড়ির চত্বরে নির্মাণ করেন একটি চিড়িয়াখানা, খেলার স্থান। এসব স্থানে তিনি ছেলেমেয়েদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিয়মিত বিনোদন অনুষ্ঠান আয়োজন করতেন। কিন্তু ১৯৯০-এর দশক এবং ২০০০-এর শুরুতে নেভারল্যান্ড র্যাঞ্চ বিতর্কিত হয়ে ওঠে। বলা হয়, সেখানে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন করেছেন জ্যাকসন। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। সান্তা বারবারার প্রসিকিউটরদের এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। ২০০৫ সালে ১৩ বছর বয়সী একটি বালকের ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মাইকেলের বিচার করা হয়। তবে এতে তিনি খালাস পান। তারপর তিনি আর নেভারল্যান্ডে ফিরে যাননি। এর চার বছর পর ২০০৯ সালের জুনে তিনি লস অ্যাঞ্জেলেসে তার আরেকটি বাড়িতে মারা যান। সূত্র বিবিসি।