রোববার (২৭ ডিসেম্বর) ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে কমিশনের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে গেলে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। প্রতিনিধি দল এসময় রাষ্ট্রপতির কাছে কমিশনের ‘বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৯’ পেশ করেন।
ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদন গ্রহণকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, যোগ্য প্রার্থীরা যাতে নিয়োগ পায় তা নিশ্চিত করতে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।শিক্ষা কোনো বাণিজ্যিক পণ্য নয়। তাই শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে আপোস করার কোনো সুযোগ নেই।
এছাড়া যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কার্যত্রম সম্প্রসারণ ও এর গুণগত মান নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন তিনি।সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো অনিয়ম দূরীকরণে জোরালো ভূমিকা রাখার জন্য ইউজিসিকে পরামর্শ দেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি ইউজিসির সার্বিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন।করোনাকালে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে শিক্ষা কার্যক্রম যাতে অব্যাহত রাখতে পারে সেজন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২১৫০ জন শিক্ষার্থীকে মোবাইল কেনার জন্য ঋণ দেওয়া হয়েছে বলে ইউজিসি চেয়ারম্যান রাষ্ট্রপতিকে জানান।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে বলেন, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যেন যোগ্য প্রার্থীরা নিয়োগ পায় তা নিশ্চিত করতে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
এসময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম শামীম উজ জামান, প্রেস সচিব মো: জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।