পৌরসভাগুলোতে মোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ১৬০জন প্রার্থী। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীদের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীও মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচন কমিশন গত ২২ নভেম্বর প্রথম ধাপের ২৫টি পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। নির্বাচনী মাঝপথে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভায় মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী মারা যান। ওই পৌরসভায় ১৬ জানুয়ারি ভোটের দিন নির্ধারণ করে পুনঃতফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি ২৪টি পৌরসভায় আজ ভোটগ্রহণ হতে যাচ্ছে।
৯০ জন ২৪ পৌরসভায় মেয়র পদে প্রার্থী রয়েছেন। সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৭৭ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ৮৪৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিটি পৌরসভায় একজন মেয়র, তিনজন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও নয়জন করে সাধারণ কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন। ভোটের পরপরই ফল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কোভিড-১৯ এর মধ্যে এবার চার ধাপে পৌর নির্বাচন করছে কমিশন। এরমধ্যে তিন ধাপে ১৫০টি পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৬১ পৌরসভায় ভোট হবে। এর মধ্যে ২৯টি পৌরসভায় ইভিএম এবং ৩২ পৌরসভায় ব্যালটে ভোটগ্রহণ হবে।
আর তৃতীয় ধাপে ৬৪টি পৌরসভায় ৩০ জানুয়ারি ভোটের তারিখ রেখে সর্বশেষ তফসিল দেওয়া হয়েছে। বাকি যেসব পৌরসভা ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন উপযোগী হচ্ছে, সেসব এলাকায় চতুর্থ ধাপে ভোটগ্রহণ করা হবে।
দেশে আজ যেসব পৌরসভায় ভোট হচ্ছে সেগুলো হলো: পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী, রংপুরের বদরগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, রাজশাহীর পুঠিয়া ও কাটাখালী, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, পাবনার চাটমোহর, কুষ্টিয়ার খোকসা, চুয়াডাঙ্গা, খুলনার চালনা, বরগুনার বেতাগী, পটুয়াখালীর কুয়াকাটা, বরিশালের উজিরপুর ও বাকেরগঞ্জ, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, নেত্রকোনার মদন, মানিকগঞ্জ, মৌলভীবাজারের বড়লেখা, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, ঢাকার ধামরাই এবং সুনামগঞ্জের দিরাই।