সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকার নির্ধারিত হোটেলগুলোতে তারা নিজ খরচে থাকবেন। আরও জানানো হয়, অন্যান্য দেশ থেকে আসা বিমানযাত্রীদের ক্ষেত্রে কোভিড সনদ আনার বাধ্যতামূলক যে ব্যবস্থা এখন চালু রয়েছে, তা বহাল থাকছে। প্রয়োজন হলে পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে দুপুরে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘লন্ডন থেকে যারা আসবে তাদেরকে স্ট্রংলি কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছেন। দুটি অপশন ছিল (লন্ডন থেকে আসা যাত্রীদের প্রবেশ) বন্ধ করা হবে নাকি স্ট্রং কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে। শেষে সিদ্ধান্ত হয়েছে স্ট্রং কোয়ারেন্টাইনে যাওয়া হবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আজকে রাতে আমরা একটা মিটিং দিয়েছি, কোয়ারেন্টাইন কবে থেকে কার্যকর হবে, মিটিংয়ে সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে মিটিংয়ে টেকনিক্যাল লোকজন থাকবে। লন্ডন ফ্লাইটে যেই আসুক তার যদি গতকালকেরও নেগেটিভ রিপোর্ট থাকে তারপরও তাকে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।’
খন্দকার আনোয়ারুল আরও বলেন, ‘দিয়াবাড়ি ও হজক্যাম্পে আমাদের প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন আছে, সেখানে থাকবে ১৪ দিন। কিছু হোটেলের ব্যবস্থা রাখতে হবে।’
অনলাইন সভায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, সুরক্ষা সেবা সচিব মো. শহিদুজ্জামান, স্বাস্থ্যসেবা সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ সচিব মো. আলী নূর, তথ্যসচিব খাজা মিয়া, নৌ পরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, আইইডিসিআর পরিচালক, বাংলাদেশ বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার এবং হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক অংশ নেন।