ভারত সেই সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে দারুণ এক জয় দিয়েই। মেলবোর্ন টেস্টে ৮ উইকেটে জিতে অ্যাডিলেডের দুঃস্বপ্নকে অনেকটাই মাটিচাপা দিয়েছে তারা। কোহলির বদলে ভারতকে নেতৃত্বে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া অজিঙ্কা রাহানে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন দলকে। অধিনায়কত্ব তো বটেই, ব্যাট হাতেও প্রথম ইনিংসে দারুণ এক সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন নিরাপদে।
এই টেস্টটি অস্ট্রেলিয়াকে দাঁড়াতেই দেননি ভারতীয় বোলাররা। প্রথম ইনিংসে ১৯৫ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২০০। ভারত প্রথম ইনিংসে ৩২৬ রান তুলে জয়ের জন্য লক্ষ্য পেয়েছিল ৭০। সে লক্ষ্যে বেশ সহজেই পৌঁছে গেছে তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা ভারতের পথটা সুগম করে রেখেছিল গতকালই। তৃতীয় দিন অস্ট্রেলিয়া শেষ করেছিল ৬ উইকেটে ১৩৩ রান স্কোরবোর্ড তুলে। মাত্র ২ রানে এগিয়ে থেকে হাতে মাত্র ৪ উইকেট নিয়ে চতুর্থ দিনে খুব বেশি কিছু করার ছিল না তাদের। করতেও পারেনি। তবে শেষ দিকে ক্যামেরন গ্রিন, প্যাট কামিন্স আর মিচেল স্টার্করা ব্যাট হাতে প্রাণপণ চেষ্টা করে ভারতের লক্ষ্যমাত্রাটাকে কেবল বড়ই করতে পেরেছিলেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের সেরা বোলার অভিষিক্ত মোহাম্মদ সিরাজ। অস্ট্রেলিয়াতে আসার পরপরই বাবার মৃত্যু সিরাজকে এলোমেলো করে দিয়েছিল। বাবাকে শেষবিদায় দিতে তিনি দেশে ফিরে যাননি। সেই সিরাজ অভিষিক্ত হয়েই নিজেকে চিনিয়েছেন। প্রথম ইনিংসে ৪০ রান ২ উইকেট পাওয়া সিরাজ দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৭ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। মোহাম্মদ শামির অনুপস্থিতিতে যেখানে ভারতীয় দলের পেস বোলিং নিয়ে চিন্তা ছিল, সেটি কী চমৎকারভাবেই না দূর করে দিলেন সিরাজ, উমেশ যাদব, যশপ্রীত বুমরারা। বুমরা নিয়েছেন ২ উইকেট, উমেশ ১টি। তবে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে রবীন্দ্র জাদেজার অন্তর্ভুক্তিটা যে দারুণ সিদ্ধান্ত ছিল, সেটি প্রমাণ করেছেন বাঁহাতি স্পিনার নিজেই। দুই ইনিংসেই অস্ট্রেলীয় ব্যাটিংয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন তাঁর ঘূর্ণিবল দিয়ে। প্রথম ইনিংসে ১টি নিলেও দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ২ উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে অশ্বিনের ৫ উইকেটও ছিল মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার অস্বস্তির বড় কারণ।