আজ মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলামের আদালতে মার্কেটের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলু এই মামলার আবেদন করেন।
এর আগে, গত ৮ ডিসেম্বর ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ শুরু হলে ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার অভিযোগ সামনে আসে। মেয়রের মেয়াদকালের শেষদিকে এসে সাঈদ খোকন পাঁচ থেকে দশ লাখ টাকার বিনিময়ে ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটের অবৈধ দোকানের বৈধতা দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন একাধিক ভুক্তভোগী দোকান মালিক।
ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরই রাজধানীর গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এর নকশা বহির্ভূত ৯১১টি দোকান উচ্ছেদ করার ঘোষণা দেন ডিএসসিসির কর্মকর্তারা।।
ওই দিন কয়েক দফায় দোকান মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান। দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রায় ৩০০ দোকান উচ্ছেদ করা হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিরা সেদিন অভিযোগ করেন, সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের সময় নকশাবহির্ভূত এসব দোকান বৈধ করতে কয়েক কোটি টাকা দিয়েছেন তারা। দোকানগুলো থেকে ডিএসসিসি এতদিন ভাড়াও নিয়েছে।
তারা আরও অভিযোগ করেন, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলু প্রায় দুই যুগ ধরে ওই তিনটি প্লাজা বা মার্কেট এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। তার নেতৃত্বেই অবৈধ এসব দোকান তৈরি করা হয়েছিল। অনেক ব্যবসায়ী টাকা দেয়ার পরও সেসময় দোকানে বৈধতা না পায়নি।
সেই দোকান মালিক সভাপতি দেলুই এবার দোকান বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করলেন।
দোকান বরাদ্দ ও ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমকে সাঈদ খোকন বলেন, আইনগতভাবে এসব দোকানকে অবৈধ বলার সুযোগ নেই। উচ্চ আদালতের নির্দেশ ও করপোরেশন সভার মাধ্যমে আমরা এসব দোকানকে বৈধতা দিয়েছিলাম। সিটি করপোরেশন ২০১২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এসব দোকানের ভাড়া পেয়েছে। সেই অর্থ করপোরেশনের তহবিলে জমা হয়েছে। হঠাৎ করেই এভাবে উচ্ছেদ করা আইনসিদ্ধ নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন।