সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) ডিএসইর ৫৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) তিনি এ কথা বলেন।
ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত সভায় ইউনুসুর রহমান বলেন, এই গতিশীলতার পেছনে বর্তমান সরকারের পুঁজিবাজার বিষয়ক নীতি সহায়তা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক ভূমিকা, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা, স্টক এক্সচেঞ্জের নিরলস প্রচেষ্টা, বাজার সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষসমূহের একাগ্রতা ও নিষ্ঠা এবং বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য ও প্রজ্ঞা রয়েছে। এর ফলশ্রুতিতে ডিএসইর লেনদেন ১ হাজার পাঁচশত কোটি টাকা অতিক্রম করেছে৷
অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় বর্তমানে বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতির চিত্র ও পরিবেশ বিনিয়োগ বান্ধব উল্লেখ করে ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে৷ দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে অদূর ভবিষ্যতে বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরও বলেন, আমার বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ডিজিটাল প্লাটফর্মে কাজ শুরু করি৷ অনেক বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও পরিচালনা পর্ষদ ডিএসই’র আয়ের খাতসমূহে বৈচিএ আনতে বহুবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে আমাদের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে দক্ষ বিনিয়োগকারী গড়ে তোলার পাশাপাশি স্মার্ট, ত্রুটিহীন ট্রেডিং প্লাটফর্ম প্রদানের মাধ্যমে এর ভাবমূর্তি বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করা।
পুঁজিবাজারের সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ের সাথে তাল মিলিয়ে ডিএসইর লেনদেন ব্যবস্থাসহ সকল ক্ষেত্রেই ডিজিটালাইজেশনের ওপর ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে৷ বাজারের গতিকে ধরে রাখতে পণ্যের বৈচিত্র আনয়নে-অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড, এসএমই, Fixed Income Securities (Treasury bond, Treasury bill) করপোরেট বন্ড নিয়ে ডিএসই কাজ করছে৷ ইতোমধ্যে উন্নত বিশ্বের স্টক এক্সচেঞ্জের সাথে তাল মিলিয়ে ডিএসই প্রি-পেনিং ও পোষ্ট ক্লোজিং সেশনও চালু করেছে৷
এছাড়াও তিনি বলেন, ডিএসই থেকে ৫টি ট্রেকহোল্ডার কোম্পানিকে এপিআই ইউএটি সংযোগ প্রদান করা হয়েছে৷ এতে অচিরেই এই সকল কোম্পানি নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওএমএস) এর মাধ্যমে সরাসরি ট্রেডিং কার্যক্রম চালু করতে পারবে৷ এরই ধারাবাহিকতায় পর্যায়ক্রমে সকল ট্রেকহোল্ডার কোম্পানিকে এ সুযোগের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে৷ এছাড়াও সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিসিবিএল) নামে একটি কোম্পানি গঠিত ও নিবন্ধিত হওয়ায় এর পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হয়েছে এবং পর্ষদের অধিনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে৷