বাইডেন বলেন, মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য ও সহযোগিতা না পেলে তা দেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। আগামী মাসেই বাইডেনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
জাতীয় সুরক্ষা ও বৈদেশিক নীতি বিষয়ক এক ব্রিফিংয়ের পর বক্তব্য রাখেন বাইডেন। গত ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইলেকটোরাল ভোটে ট্রাম্পের চেয়ে অনেক বেশি ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করেন জো বাইডেন।
কিন্তু নির্বাচনের পর থেকেই ট্রাম্প নিজেকে জয়ী দাবি করতে থাকেন। তিনি ফলাফল মেনে না নিয়ে নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ আনেন। এমনকি বিভিন্ন রাজ্যে তার প্রচারণা শিবির নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে মামলাও করে। যদিও তা আদালতে খারজি হয়ে গেছে।
নির্বাচনের ফলাফলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়লাভের তিন সপ্তাহ পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাইডেনকে কোনো ধরনের সহযোগিতা করা হয়নি। তিনি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বিফ্রিং পাননি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়ী হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর থেকেই একজন প্রেসিডেন্ট এ ধরনের সহযোগিতা পেয়ে থাকেন। কিন্তু চলতি বছরের নির্বাচনের পর বাইডেনের সঙ্গে যেমন আচরণ করা হয়েছে তা আগে কখনও হয়নি।
বাইডেন বলেন, নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলোর বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সোমবার বাইডেনের বক্তব্যের পর ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টোফার মিলার বলেছেন, পেশাদারিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য কর্মকর্তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
এদিকে পেন্টাগনের এক মুখপাত্র বলছেন বাইডেনের টিমের সঙ্গে তারা সম্পূর্ণ স্বচ্ছ রয়েছেন। অপরদিকে বাইডেন বলছেন, প্রতিরক্ষা দফতর এবং ব্যবস্থাপনা ও বাজেট দফতরে ‘রোডব্লকের’ মুখে পড়েছেন তার সহযোগীরা। অথচ প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় এটি নিয়মিত ও গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ।