এবারও প্রধান শিক্ষকের সংরক্ষিত তিন দিনের ছুটিসহ বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে ছুটি থাকবে মোট ৮৫ দিন। এছাড়া ছুটির তালিকার বিভিন্ন পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করে বেশ কিছু নির্দেশনাও দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি মাধ্যমিক-১ শাখা থেকে ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য ছুটির মধ্যে পবিত্র রমজান, মে দিবস, বুদ্ধ পূর্ণিমা, বৈশাবী পূর্ণিমা, শব-ই-কদর, জুমাতুল বিদা ও ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ১৪ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৩১ দিন ছুটি থাকবে।
এছাড়া পবিত্র ঈদ-উল-আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশে ১৭ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত ১২ দিন বন্ধ পাবে স্কুলগুলো। দুর্গাপূজা, ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী, লক্ষ্মীপূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে ১১ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ৯ দিন বন্ধ থাকবে।
শীতকালীন অবকাশ, বিজয় দিবস, যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন বা বড় দিন উপলক্ষে ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৩ দিন ছুটি থাকবে।
পরীক্ষার সময়সূচিতে ১২ জুন থেকে ২৪ জুনের মধ্যে অর্ধ-বার্ষিক/প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা, ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত নির্বাচনী পরীক্ষা ও ২৮ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করতে হবে। মোট ১২ দিনের মধ্যে এসব পরীক্ষা গ্রহণ করে ফলাফল যথাক্রমে ১০ জুলাই, ৬ নভেম্বর ও ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাবর্ষ হবে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর। প্রথম কর্মদিবস অর্থাৎ ১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক দিবস হিসেবে উদযাপন করতে হবে।
প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উল্লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা, নির্বাচনী পরীক্ষা ও বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ নিশ্চিত করবে এবং বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র অন্তত এক বছর সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতি পরীক্ষার সময়কাল ১৪ দিনের বেশি হবে না।
স্ব-স্ব বিদ্যালয় পরীক্ষা প্রশ্নপত্র (পাবলিক পরীক্ষা ব্যতীত) নিজেরাই প্রণয়ন করবে। কোনো অবস্থাতেই বাইরে থেকে প্রশ্নপত্র ক্রয় করে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।
পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন করা যাবে না। তবে কোনো বিশেষ কারণে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করতে হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে।
সাপ্তাহিক ছুটি (শুক্রবার) ব্যতীত বছরে মোট ছুটি ৮৫ দিন। সরকার যেসব দিনকে সাধারণ ছুটি (পাবলিক হলিডে) এবং নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি বলে ঘোষণা করা হবে সেসব দিন উক্ত ৮৫ দিনের অন্তর্ভুক্ত হবে।
কোনো সরকারি কর্মকর্তার পরিদর্শন উপলক্ষে বিদ্যালয় ছুটি দেয়াও যাবে না এবং সংবর্ধনা/পরিদর্শন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ করা যাবে না। সংবর্ধিত/পরিদর্শনকারী ব্যক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য শিক্ষার্থীদের সড়কে দাঁড় করানো যাবে না।
ছুটির সময় অনুষ্ঠেয় ভর্তি/অন্য পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনে বিদ্যালয় খোলা রাখতে হবে। উপবৃত্তি, ভর্তি পরীক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ইত্যাদি পরীক্ষা প্রয়োজনে বিদ্যালয় খোলা রাখতে হবে। জেএসসি/এসএসসি পরীক্ষার সময় পরীক্ষা কেন্দ্র ব্যতীত অন্য বিদ্যালয়সমূহে যথারীতি শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকবে।
প্রত্যেক বিদ্যালয়ে দৈনিক পাঠ বিবরণী নামে ডায়েরি ছাপাতে হবে এবং শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে তা বিলি করতে হবে। এ ডায়েরি ছাত্র/ছাত্রী পরিচিতি, অভিভাবকদের প্রতি পরামর্শ, ছাত্র/ছাত্রীদের আচরণবিধি, শিক্ষকদের নাম ও শিক্ষাগত যোগ্যতা, ধর্মীয় নৈতিক শিক্ষার জরুরি নির্দেশনাবলী, ছুটির তালিকা এবং ক্লাস রুটিন (এতে প্রতিদিন অভিভাবকের স্বাক্ষর নিতে হবে) অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ দিবস যথা: ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৭ মার্চ, ২৬ মার্চ, ১৫ আগস্ট ও ১৬ ডিসেম্বর ক্লাস বন্ধ থাকবে। তবে সংশ্লিষ্ট দিবসের বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিদ্যালয়ে দিবসটি উদযাপন করতে হবে।
প্রতিটি বিদ্যালয়ের সরকার ঘোষিত সময়সসূচি অনুযায়ী সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা আয়োজন ও শিক্ষা সপ্তাহ পালন করতে হবে।