বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংকটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নোয়েল কুইন বলেছেন, বর্তমানে এইচএসবিসির কর্মীসংখ্যা ২ লাখ ৩৫ হাজার। আগামী তিন বছরের মধ্যে তা ২ লাখে নামিয়ে আনা হবে। এশিয়ার প্রভাবশালী এই ব্যাংকটি গত বছর কর পরিশোধ ছাড়া মুনাফা করেছে ১ হাজার ৩৩৫ কোটি ডলার।
ব্যাংকটি জানিয়েছে, মূলত ইউরোপে বিনিয়োগ আর বাণিজ্যিক কার্যক্রম প্রত্যাশিত না হওয়ায় ৭৩০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছে তারা। তবে ৩৫ হাজার কর্মীকে ছাঁটাইয়ের ঘটনাটি আশঙ্কার তুলনায় বেশি, যা ব্যাংকটির মোট কর্মীর ১৫ শতাংশ। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা ছিল, এবার হয়তো আনুমানিক ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করা হবে।
বিবিসি বলছে, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আমেরিকা আর ইউরোপের অর্ধশতাধিক দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে দ্য হংকং সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন। শুধু যুক্তরাজ্যেই এর কর্মীসংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি। এইচএসবিসির এই ছাঁটাইয়ের কবলে পড়বেন ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ব্যাংকিং-বিনিয়োগ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অনেক কর্মী।
লন্ডন ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইনান্সের সাবেক ডিন পিটার হান বিবিসিকে বলেন, ‘আমার মনে হয়, বিনিয়োগ ব্যাংকিংয়ে সাফল্যের সম্ভাবনা সম্পর্কে খুব আশাবাদী ছিল তারা। বাস্তবতা হলো, বিশ্বে বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র এবং সেখানে আপনি বৃহৎ অংশীদার না হতে পারলে সাফল্য সম্ভব নয়। তারা সেটা পারেনি।‘