বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, দেশে মাঝে মধ্যে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। আমরা সেগুলো মোকাবিলায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিই। যেমন- করোনা ভাইরাসের বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি, যাতে চীনে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করতে না পারে। ডেঙ্গু নিয়ে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছিল। মশার ব্যাপারে আমাদের নিজেদের সচেতন থাকতে হবে। করোনা ভাইরাসের কারণে চীন থেকে বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। বিশেষ করে ওষুধের কাঁচামালসহ অন্যান্য কাঁচামাল আমদানির বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এটি আজ কারও কাছে লুকায়িত নেই। এক সময় দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের রাজত্ব ছিল। মানুষের জানমালের কোন নিরাপত্তা ছিল না। আমরা অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলাম। এক দশকে আমরা বাংলাদেশের অবস্থার পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের ১৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। টাকা আছে বলেই আমরা নিয়েছি। এ প্রসঙ্গে তিনি ৬৮৫টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ধর্ষণকারীরা পশুর চেয়েও খারাপ। আমরা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছি। আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি, কাউকে-ই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই, ধর্ষণকারীদের যেখানেই পাওয়া যাবে, তাদের ধরিয়ে দিন। এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে ধরিয়ে দিন। আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, রমজান এলেই অনেকেই দ্রব্যমূল্য নিয়ে খেলায় মেতে ওঠার চেষ্টা করে। আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ কোনো সঙ্কটের গুজব ছড়ালে তাতে কেউ আতঙ্কিত হবেন না। আতঙ্কিত হয়ে পণ্য মজুদ করবেন না।