বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) ইংরেজি নববর্ষ ২০২১ উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস এক বাণীতে এসব বলেন।
তিনি বলেন, কোভিড- ১৯ আমাদের জীবনকে পাল্টে দিয়েছে এবং বিশ্বকে দুর্ভোগ ও শোকের মধ্যে ডুবিয়ে দিয়েছে। হারিয়ে গেছে অনেক প্রিয়জন এবং ক্রমবর্ধমান মহামারি, অসুস্থতা এবং মৃত্যুর নতুন ঢেউ তৈরি করছে। দারিদ্র্য, অসাম্য এবং ক্ষুধা বাড়ছে। চাকরিগুলো হারিয়ে যাচ্ছে এবং ঋণসমূহ পাহাড়সম হচ্ছে। ছেলে-মেয়েরা লড়াই করে যাচ্ছে। পারিবারিক সহিংসতা বাড়ছে এবং সর্বত্রই বিরাজ করছে নিরাপত্তাহীনতা।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, তবে আগত নতুন বছরে আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। মানুষ প্রতিবেশী এবং অপরিচিতদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে, সম্মুখযোদ্ধারা তাদের সমস্ত কিছু উজাড় করে দিচ্ছেন, বিজ্ঞানীরা রেকর্ড সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন তৈরি করছেন, জলবায়ু বিপর্যয় রোধে দেশগুলি নতুন করে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হচ্ছে। আমরা ঐক্য ও সংহতি নিয়ে যদি একসঙ্গে কাজ করি, তবে আশার এই আলো বিশ্বজুড়ে পৌঁছাতে পারে। এটিই এই কঠিন বছরের শিক্ষা।
জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস বলেন, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই ভবিষ্যতের পথে রূপান্তরের অংশ হিসাবে জলবায়ু পরিবর্তন এবং কোভিড-১৯ মহামারি উভয় সংকটই শুধুমাত্র সকলে মিলে সামলানো যেতে পারে। ২০২১ সালের জন্য জাতিসংঘের প্রধান লক্ষ্য হল কার্বন নিরপেক্ষতার জন্য একটি বৈশ্বিক জোট গঠন করা অর্থাৎ ২০৫০ সালের মধ্যে নির্গমন নিট শূন্যে নামিয়ে আনা। এই স্বপ্ন অর্জনের জন্য প্রতিটি সরকার, শহর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং স্বতন্ত্র ব্যক্তি একটি ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, মারাত্মক ভাইরাসটির প্রভাব থেকে নিরাময়, ভেঙে পড়া অর্থনীতি এবং সমাজ থেকে নিরাময়, বিভাজন থেকে নিরাময় এবং গ্রহটির নিরাময় শুরু করা অবশ্যই আমাদের নতুন বছর ২০২১ সালের প্রত্যয়। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে আমি আপনাদের সবাইকে একটি শুভ এবং শান্তিপূর্ণ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই।