আজ রোববার (৩ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানি শেষে এ আদেশ দেয়া হয়। একইসঙ্গে তার অর্থদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
দুর্নীতি দমন কমিশনের করা এ মামলায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ৮ নভেম্বর মীর নাছির বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ওইদিন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। আত্মসমর্পণের পরে মীর নাছির আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) করেন। একইসঙ্গে জামিনও চান।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৬ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাছির ও তার ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ একই বছরের ৪ জুলাই এক রায়ে মীর নাছির উদ্দিনকে আলাদা ধারায় তিন বছর ও ১০ বছরের দণ্ড দেন। একইসঙ্গে ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া তার ছেলে মীর হেলালকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকার অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আলাদা দু’টি আপিল করেন।
এর আগে, হাইকোর্ট ২০১০ সালের ১০ আগস্ট মীর নাছিরের এবং একই বছরের ২ আগস্ট মীর হেলালের সাজা বাতিল করে রায় দেন। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করে দুদক। ২০১৪ সালের ৪ জুলাই দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে রায় দেন আপিল বিভাগ।
রায়ে মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে দুর্নীতি মামলায় খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে মামলাটির আপিল আবেদন পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়।
সেই অনুসারে হাইকোর্টে ওই আপিল দু’টির পুনরায় শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর রায় দেন।
রায়ে হাইকোর্ট তাদের আপিল খারিজ করে দেন। ফলে তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের তিন বছরের সাজা এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদের অভিযোগে ১০ বছরের সাজা বহাল থাকল। একইসঙ্গে সহযোগিতার (অ্যাবেটমেন্ট) জন্য তার ছেলে মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের তিন বছরের সাজা বহাল রইলো। পাশাপাশি তিন মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।