রবিবার বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার মূল্য উঠেছে ৩৪ হাজার ৭৭৮ মার্কিন ডলারে। শতকরা ১২ ভাগ মূল্য বৃদ্ধির পর শেষবার এর মূল্য ৩১ হাজার ৯৬২ ডলারে দাঁড়িয়েছিল ।
২০২০ সালে বিটকয়েনের বাজার মূল্য বেড়েছে তিনশ’ শতাংশের বেশি। আর ২০ হাজার মার্কিন ডলার পেরোনোর পর দুই সপ্তাহে দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি।
অনেক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মার্কিন ডলারে দরপতনের সাথে সাথে আরও বেড়ে যেতে পারে বিটকয়েনের মূল্য। কোভিড-১৯ মহামারীতে বিটকয়েনকে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবেও দেখছেন অনেকে।
বৈশ্বিক ব্লকচেইন প্রকল্প চেইনলিঙ্কের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সার্গেই নাজারভ বলেছেন, “এই সম্পদের প্রতি কয়েনের মূল্য এক লাখ ডলার ছাড়াবে এমন সম্ভাবনা অনেক বেশি।অনেক বছর ধরেই মানুষ ধীরে ধীরে সরকারি মুদ্রার ওপর আস্থা হারাচ্ছেন এবং করোনাভাইরাস বাস্তবতায় অর্থনীতির ওপর পড়া প্রভাব আস্থার এই পতনকে আরো নীচে ঠেলে দিয়েছে।
অনেক প্ল্যাটফর্মেই বিটকয়েনের লেনদেন হয়, এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কয়েনবেইজ। এই খাতের প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে শেয়ার বাজারে নাম ওঠানোর প্রস্তুতিও নিচ্ছে কয়েনবেইজ।
মহামারির শুরুর দিকে গত মার্চে ডলারে দর বাড়লেও পরবর্তী মাসগুলোতে ক্রমাগত ডলারের দরপতন হয়েছে। ২০১৭ সালের পর থেকে ২০২০ সালে শেষে এসে ডলারের সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে।
মার্কিন ডলার ও পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মতো একই পদ্ধতিতেই বিটকয়েনের বিনিময় হয়। সম্প্রতি অনলাইন লেনদেনের জনপ্রিয় মাধ্যম পে-পাল সরাসরি পে-পাল অ্যাকাউন্তের মাধ্যমেই এ ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে লেনদেন করা যাবে এমন ঘোষণা দেয়। তবে বিটকয়েনের মান সবসময়ই পরিবর্তনশীল।
ইতোপূর্বে ২০১৭ সালেও বিটকয়েনের বাজারমূল্য ২০ হাজার ডলার অতিক্রম করার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায়, তবে এর কিছুদিনের মধ্যেই এর দরপতন হয়ে বাজারমূল্য দাঁড়ায় মাত্র সাড়ে ৩ হাজার ডলার।
গত বছর নভেম্বরে ১৯ হাজার ডলার বাজারমূল্য হওয়ার পরপরই আবার দরপতন হয়।
গত অক্টোবরেই লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে বিটকয়েন ব্যবহারের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেন ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি। লেনদেনের মাধ্যম হিসবে বিটকয়েন ব্যবহার সম্পর্কে তিনি চিন্তিত জানিয়ে বিনিয়োগকারীদের এর অস্থিতিশীল বাজারদর সম্পর্কে সতর্ক করেন।