এর আগে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) ফলাফল ঘোষণা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। তবে অধ্যাদেশ জারি করতে না পারায় এ সপ্তাহে ফলাফলও প্রকাশ করা হচ্ছে না।
জানা গেছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অধ্যাদেশ জারি করতে হয়। এর আগে মন্ত্রীপরিষদের বৈঠকে অধ্যাদেশ জারির বিষয়টি উত্থাপিত হয়। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করেন। অধ্যাদেশ জারি হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি সাপেক্ষে ফল প্রকাশ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের আজ বুধবার (৬ জানুয়ারি) বলেন, ‘ফলাফল প্রকাশের আগে অধ্যাদেশ জারি করতে হয়। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর অধ্যাদেশ জারি করা হবে। তারপর ফলাফল প্রকাশ হবে।তাই পরবর্তী মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ করা হচ্ছে না।
তবে চলতি সপ্তাহে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত না হওয়ায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বিষয়েও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। আগামী সপ্তাহে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে অধ্যাদেশ জারি করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও করোনা সংক্রমণের কারণে তা বাতিল করা হয়। পরে শিক্ষার্থীদের জেএসসি, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল গড় করে এইচএসসি সমমানের পরীক্ষার ফল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে জেএসসি-জেডিসির ফলাফলের ২৫ এবং এসএসসির ফলের ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে এইচএসসির ফলাফল ঘোষিত হবে।